সম্পাদকীয়
শিক্ষাই জাতি শিক্ষাই জ্ঞাতি শিক্ষাই দেশ গড়ার মূল যন্ত্র মূলমন্ত্র। সেই শিক্ষার কারিগর শিক্ষক। প্রথম শিক্ষক জন্মধাত্রী মা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষকের দ্বারে দ্বারে ঘুরে শিক্ষার বিস্তার শিক্ষার অর্জন শিক্ষার ব্যাপকতা বিকশিত হয়েছে। সমগ্র পৃথিবীতে বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। কিন্তু ২৮ অক্টোবর দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষকদেরকে আহŸান করছেন প্রশ্ন ফাঁস থেকে শিক্ষকদের বিরত থাকতে। এটা বড়ই পরিতাপের বিষয়। যেখানে শিক্ষক সেই শিক্ষকই আবার নিরীক্ষক পরীক্ষক। দীর্ঘ সময় ধরে যে শিক্ষকগণ কাঁচা মাটিকে পাকা করেছে একটি অপরিপক্ক মেধাকে পরিপক্ক করেছে সেই শিক্ষক কেন কিভাবে কোন সূত্রের হাত ধরে প্রশ্ন ফাঁস করার মত কাজের সাথে জড়িত হয়ে গিয়েছিল বা জড়িত হয়ে আছে? আর একটি দেশের শিক্ষামন্ত্রী তাদেরকেই প্রশ্ন ফাঁস করা থেকে বিরত থাকার জন্য আহবান করে। এজন্য অসহায়ত্বেরে বাস্তব দৃষ্টান্ত। এই পরীক্ষা এবং প্রশ্ন এ দুটি রাষ্ট্রীয় একটি দপ্তর কয়েকটি দপ্তরের সম্পৃক্ততায় প্রশ্ন এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এখানে সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং প্রশাসনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রশ্ন তৈরি করবে আর দেশের প্রশাসন সেই প্রশ্ন শিক্ষার্থীর পরীক্ষার সময়ে বলতে পরীক্ষার কক্ষে প্রশ্ন হাতে আসা পর্যন্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে বিষয়টা এমনই হওয়ার ছিল অতীতে হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে শুরু করে শিক্ষক পর্যন্ত কি এমন নৈতিকতার বন্দর থেকে সরে গেল যে দেশের শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদেরকে প্রশ্ন ফাঁস করা থেকেই বিরোধ থাকার জন্য আহŸান করবে। তাহলে শিক্ষা বিষয়ক সংশ্লিষ্ট দপ্তর এর সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং প্রশাসনের মাপকাঠি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তা শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য থেকেই অনুমান করা মোটেও কঠিন নয় যা সচেতন মহলের একান্ত জাতির স্বার্থে বৃহৎ ভাবনা। যে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার শিক্ষার মান নির্ণয়ের জন্য ব্যবস্থাপনা শঙ্কার মধ্যে থেকে যায় সেই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার প্রয়োগ শিক্ষার ক্ষেত্রে মানবিক চিন্তা চেতনার বাস্তবায়ন কতটুকু উন্নতি হয়েছে তা অনুমান করা মোটেও কঠিন নয় কি?