সম্পাদকীয়
মানুষের জীবন চাহিদার প্রতি প্রত্যেকটা বস্তুর মূল্য প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। বাংলাদেশের জীবনযাত্রা যান্ত্রিক চালিকাশক্তি সম্পৃক্ত প্রতিটি সরঞ্জামের জীবন পরিচালিত হয়ে থাকে জ্বালানি তেল এবং বিদ্যুতের মাধ্যমে। এসব ক্ষেত্রে যখন সরকারের সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়েছে তখন সমন্বয়ে করেই জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে সার্বিক জীবনের প্রত্যেকটা ব্যবহারযোগ্য বস্তুর মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে। যা সারাদেশের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। জনগণের জীবন চাহিদার খাদ্য বস্ত্র অন্য বাসস্থান চিকিৎসা শিক্ষা যোগাযোগ সকল কিছুর মূল্য যখন বৃদ্ধি পেয়েছে জনগণ তো যেকোনো মূল্যে তা চালিয়ে নিচ্ছে। এখন শিক্ষা ক্ষেত্রে এসব চাহিদার কোন প্রভাবের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুদিন বন্ধ রাখার প্রক্রিয়া চালু করছে। ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের পিছনে শিক্ষার্থী সমাজ মিশে গেছে। এখন আবার শিক্ষা ক্ষেত্রে দুইদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার প্রক্রিয়াটা শিক্ষার্থীদের ইলেকট্রিক ডিভাইসের প্রতি অযাচিত ব্যবহারের সুযোগটা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না? তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কোন পথে পরিচালিত হবে সেটা কি একবারও ভাবা উচিত নয়? অভ্যান্তরীণ শিক্ষার ভিত্তি কতটুকু নরবড় পরিস্থিতি পড়েছে তা অনুমান করা মোটেও কঠিন নয়। শিক্ষার ভিত্তি কতটুকু পাকাপোক্ত তা এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক পরিমাণ অনুপস্থিতি তা বাস্তব প্রমাণ ১৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক শপথ পত্রিকার প্রকাশ হয়েছে চাঁদপুরে প্রথম দিনে অনুপস্থিত ৬৫৮ শিক্ষার্থী যা বিগত দিনে চাঁদপুর জেলায় রেকর্ড ভেঙেছে। এরপর এখন আবার দেশের সার্বিক জীবন ব্যবস্থার প্রতি প্রত্যেকটি বস্তুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ার বা বৃদ্ধি করার পরেও যে ধরনের অযৌক্তিক কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর শিক্ষা পদ্ধতির সময় শিক্ষা গ্রহণের সময় পাঠদানের সময় কমিয়ে আনার প্রক্রিয়া আনা হয়েছে এতেও বুঝা যাচ্ছে শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রেও মূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়া। এমন পদ্ধতিতে সরকার আসা মানে বাংলাদেশের জনগণের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি কার্যক্রমের এমন পদ্ধতি গ্রহণ করা মানে শিক্ষা গ্রহণ করার পদ্ধতিতেও মূল্যবৃদ্ধি করার একটা পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে। যে খরচে শিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদান করা হতো সেই শিক্ষা এখন আরো অধিক টাকা ব্যয় করে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা অর্জন করতে হবে। যেখানে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে সপ্তাহের প্রতিটি দিনেই বিদ্যালয়ে গিয়েই পাঠদান গ্রহণ করে সেই শিক্ষার মাধ্যমেই তার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। এখন যখন শিক্ষার প্রদানের দিন কমে আসছে সে হিসাবে তাদের শিক্ষা অর্জনের সময়ও কমে যাচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীরা অন্যান্য সময়ের শিক্ষা গ্রহণ করার যে সময় শিক্ষকদের থেকে পেতো সেখানে একদিন কমে যাচ্ছে তাহলে শিক্ষার্থীর শিক্ষার গতি কমে যাবে। আর যদি শিক্ষার্থী তার শিক্ষার লক্ষ্যে পৌঁছতে হয় তাকে অত্যধিক পরিশ্রম করতে হবে এবং এই শিক্ষা অর্জনের জন্য অনেকের আর্থিক ব্যয় বেড়ে যাবে। তাহলে পরিশেষে দাঁড়ালো এরো পূর্বে যে অর্থের বিনিময়ে সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রদান করা হতো যা শিক্ষাপ্রদানের ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধি করার পাঁয়তারা মাত্র। এমন পরিস্থিতি থেকে দেশকে মুক্তি না দিতে পারলে দেশ এবং জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ক্ষতির মধ্যেই পড়ে যাবে।