নজরুল ইসলাম আতিক
চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগের একাংশ। গতকাল বুধবার বেলা ১২টায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশে বিদেশে পরিচিত শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপিকে কি উদ্দেশ্যে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে অভিযুক্ত করে তার মতো একজন রাজনীতিবিদের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে তা উদঘাটন করার প্রয়োজন। বিগত ১৩ বছরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাÐ সম্পন্ন করেছেন। এসব উন্নয়ন কর্মকাÐ সম্পন্ন করতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে জমি অধিগ্রহণ করা হয় কিন্তু কোন জমিতে ডা. দীপু মনি বা তার পরিবারের কোন সদস্যের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা ছিল না। এই বিষয়গুলো চাঁদপুরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনৈতিক কর্মকর্তাসহ সামাজিক ব্যক্তিবর্গ অবগত আছেন। তবে এখন কি উদ্দেশ্য করে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই অপচেষ্টা চলছে তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির বড় ভাই বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক ডাক্তার জেআর ওয়াদুদ টিপু উক্ত স্থানে একটি হাসপাতাল ও বৃদ্ধাশ্রম স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে উক্ত জমি ক্রয় করেন। যা অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর বহু পূর্বে অল্প অল্প করে ক্রয় করেছিলেন তিনি। অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হলে তিনি উক্ত জমি রেজিস্টার্ড দলিল মূলে সকল সম্পত্তি হস্তান্তর করেন। তিনি বলেন, একটি সরকারি স্থাপনার আশেপাশে অনেকেই জমি ক্রয় করে থাকেন আর এসব জমি ক্রয়ের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি অবগত থাকার কথা নয় বা তিনি অবগতও নয়।
নদীর তীরবর্তী বলে প্রতিষ্ঠানটিকে উল্লেখ করা হলেও ওই স্থানটি ছাড়পত্র দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাছাড়া গত ১০ বছরে উক্ত স্থানে কোন ভাঙ্গন লক্ষ্য করা যায়নি। চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ স্থাপনের ক্ষেত্রে একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে সেই কাজে বিঘœতা সৃষ্টি করেছে। যা এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও চালাচ্ছে তারা।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমির মূল্য নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় শিক্ষামন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে সংবাদ প্রচার করা হয়। যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কারণ চাঁদপুরে দীপু মনির ক্রয়কৃত কোন জমি নেই। মূলত সংবাদে শিক্ষামন্ত্রীর সম্পৃক্ততা দেখিয়ে সরকারের উন্নয়ন প্রশ্নবিদ্ধ ও বাধাগ্রস্ত করতে এমন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এসময় উদ্দেশ্যে প্রণোদিত এমন ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানান নেতাকর্মীরা।
এসময় জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি তাফাজ্জল হোসেন এইডু পাটোয়ারী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমানসহ জেলার শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
যে বা যারা কোন কোন গনমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডাঃ দীপু মনি বা তাঁর পরিবারকে জড়িয়ে জঘন্য মিথ্যাচার করছে তাদের আসল উদ্দেশ্যে উদঘাটিত হওয়া অতীব জরুরী বলে দাবি করেন নেতাকর্মীরা। তারা দাবি করেন, এটি শুধু ডা. দীপু মনির সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা নয়, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসন ও রাজনীতিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার কিংবা শেখ হাসিনা সরকারকে অপদস্থ করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা বলেও অনেকেই আশংকা করছেন।
এক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো লক্ষ্যণীয়:
১। চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে জমির মূল্য নির্ধারণ জমির মালিকের করার সুযোগ নেই। জেলা প্রশাসনই উভয় প্রাক্কলণ তৈরি করেছে।
২। স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭ এর ৯ (১) ধারা অনুযায়ী প্রাক্কলণ প্রস্তুত করা হয়।
৩। উক্ত আইন অনুযায়ী ৪ ধারার নোটিশ জারির পূর্ববর্তী ১২ মাসে সম্পাদিত সকল দলিল বিবেচনায় নিয়ে গড় মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
৪। আইনের বিধান অনুযায়ী প্রথম প্রাক্কলণ দাঁড়ায় ৫৫৩ কোটি টাকা।
৫। জেলা প্রশাসন কর্তৃক দুটি প্রাক্কলণই প্রস্তুত করা হয়। জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রথম প্রাক্কলণকৃত মূল্য ৫৫৩ কোটি টাকা যা জমির মূল্য বাড়িয়ে দেয়ার কারণে ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। একইসাথে বলা হচ্ছে পূর্ববর্তী প্রাক্কলণে বাজার মূল্যের ২০গুণ বেশী দাম ধরা হয়েছিল। ১৯৩ কোটি টাকার ২০গুণ গণিতের কোন নিয়মে ৫৫৩ কোটি টাকা হয় তাও বোধগম্য নয়। ঠিক কি কারণে একই কর্তৃপক্ষ একই জমির জন্য কিছুদিনের ব্যবধানে কেন দুটি প্রাক্কলণ প্রণয়ন করলো এবং যার মধ্যে মূল্যে এত পার্থক্য হলো তাও জানা প্রয়োজন।
৬। ডা. দীপু মনি’র চাঁদপুর জেলার কোথাও ক্রয়সূত্রে কোন জমির মালিকানা নেই। অর্থাৎ তিনি কখনোই চাঁদপুরে কোন জমি ক্রয় করেন নি। ডা. দীপু মনি এমপি’র পরিবারের কোন সদস্যের কোন জমি উক্ত অধিগ্রহণ এলাকায় নেই। কাজেই জমির মূল্য থেকে তাদের লাভবান হবার বা অনৈতিক কোন সুবিধা গ্রহণেরও কোন প্রশ্ন উঠতে পারে না।
৭। ডা. দীপু মনি এমপি এর বড় ভাই বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ শল্য চিকিৎসক ডাঃ জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ ল²ীপুর ইউনিয়নে নদীর পাড়ে হাসপাতাল ও বৃদ্ধাশ্রম স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর বহু পূর্ব হতেই অল্প অল্প করে জমি ক্রয় করছিলেন। চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রাথমিকভাবে চিন্তা করা ২ টি স্থানের মধ্যে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের স্থানটি চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে ডাঃ জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ রেজিস্টার্ড দলিলমূলে ক্রয়কৃত সকল জমি হস্তান্তর করে দেন। কারণ তার ছোটবোন শিক্ষামন্ত্রী এবং তার ক্রয়কৃত জমি অধিগ্রহণ করা হলে তিনি আর্থিকভাবে লাভবান হবেন যা ঈড়হভষরপঃ ড়ভ রহঃবৎবংঃ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
৮। বাংলাদেশে যেকোন জায়গায় কোন উল্লেখ্যযোগ্য স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণের পূর্বেই বহু মানুষ উক্ত স্থানে বা তার আশেপাশে জমি কিনে থাকেন বা কোন স্থাপনা নির্মাণ করেন। তা কখনো আর্থিকভাবে লাভবান হবার জন্য, কখনো বড় বা ভালো কোন স্থাপনার কাছে থাকবার জন্য। চাঁদপুরের কেউ একইভাবে লক্ষ্মীপুর জমি কিনে থাকতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধিগ্রহণের নিমিত্ত নির্ধারিত জায়গায়কে বা কারা জমি ক্রয় করেছেন বা করছেন তা ডাঃ দীপু মনি’র জানবার কথা না। তিনি জানেনও না।
৯। শুধুমাত্র তাঁর বড় ভাইয়ের হাসপাতাল ও বৃদ্ধাশ্রম স্থাপনের জন্য ক্রয়কৃত এবং অধিগ্রহণের পূর্বেই হস্তান্তরকৃত (দলিল নং-৮০৪০, ৬/১২/২০২১) জমির বিষয়ে তিনি অবহিত ছিলেন।
১০। এছাড়াও অভিযোগ করা হচ্ছে যে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নিমিত্তে অধিগ্রহণের জন্য নির্ধারিত স্থানটি অনুপযুক্ত এবং ভাঙ্গনের ঝুঁকি রয়েছে। চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা নির্ধারণের জন্য যে বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব দেয়া হয় তা হলো- বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে বেশি দূরে না হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির সাথে আশেপাশের জেলাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা যেন ভালো থাকে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় যেন কোন হাইওয়ে সড়কের পাশে না হয়, তার অন্যতম কারণ প্রায়শ: দেখা যায় কোন ছাত্র অসন্তোষ দেখা দিলে ছাত্ররা হাইওয়ে অবরোধ করে দেন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপর্যয় ঘটায়। এ সকল দিক বিবেচনা করে ল²ীপুরের জায়গাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাব করা হয় কারণ ল²ীপুর ইউনিয়ন শহর থেকে মাত্র ০৩ কিলোমিটার দূরে এবং লক্ষ¥ীপুর ইউনিয়নের সাথে শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ল²ীপুর জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। নির্ধারিত স্থানটি স্থায়ী বাঁধ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ী বাঁধের ভিতরে অবস্থিত। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পর গত দশ বছরের অধিককালে সেখানে কোন ধরনের ভাঙ্গনের কোন ঘটনা ঘটেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিবেদনেও এখানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যায় মর্মে মত দেয়া হয়েছে।
১১। ডাঃ দীপু মনি ও তাঁর বড় ভাইয়ের কেউ কখনো কোন আর্থিক অনিয়ম বা দুর্নীতির সাথে কোনদিন জড়িত ছিলেন না বা নেই। তার নির্বাচনী এলাকায় গত ১৩ বছরে এমপি হিসেবে তার সততা ও স্বচ্ছতা সর্বজন বিদিত।
১২। অধিগ্রহণের জন্য নির্ধারিত জমির মূল্য ইচ্ছাকৃতভাবে বৃদ্ধি করার জন্য বেশী মূল্যে জমি হস্তান্তরের ঘটনা যদি ঘটে থাকে তবে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে ডাঃ দীপু মনি মনে করেন।
১৩। জমির যথাযথ মূল্য না পাওয়ার আশংকায় জমির মালিকদের মধ্য থেকে ৩ জন হাইকোর্টে ২টি রীট মামলা দায়ের করেন যা বর্তমানে আদালতের বিবেচনাধীন রয়েছে।
১৪। উল্লেখ্য যে, আলোচ্য বিষয়টি পদ্মা সেতুর কথিত দুর্নীতির অভিযোগের মতো একটি অভিযোগ-যেখানে অর্থ বরাদ্দ বা লেনদেন হয়নি, ক্রয়-বিক্রয় হয়নি সেখানে দুর্নীতি হয়েছে বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
আরো উল্লেখ্য যে, চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ বিদেশ থেকে নিয়ন্ত্রিত কানাডা ভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টালে যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তাহা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণবশতঃ বক্তব্য। জেলা আ.লীগ সভাপতি হিসেবে তিনি এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন না। বিদেশ থেকে যারা দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো কানাডা ভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টালে তার এই বক্তব্য দেশ ও সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের সামিল। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সরকারের মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক নগ্ন অপপ্রচারকে উসকে দিয়ে তিনি প্রকৃতপক্ষে সরকার ও দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলে আমরা মনে করি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পরিবেশ অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ দল লক্ষ্মীপুর মৌজায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্যতা যাচাই করে ইতিবাচক প্রতিবেদন দিয়েছেন। সকল ধরনের প্রতিবেদনের আলোকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্মীপুর মৌজায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণ অনুমোদন করেছেন অথচ তিনি ঐ স্থানে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা।
অনলাইন নিউজ পোর্টালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন জেলা প্রশাসনের অফিসিয়াল চিঠিপত্র সম্পর্কে জেলা প্রশাসক সাহেব উনাকে বলেছেন এবং দেখিয়েছেন। তাহলে প্রশ্ন হলো প্রশাসনের গোপনীয় চিঠিপত্র কিভাবে জেলা প্রশাসক সাহেব উনাকে বললেন এবং দেখালেন।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চাঁদপুর-হাইমচর নদী ভাঙ্গন কবলিত এই জনপদের মানুষ বুকভরা আশা নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী ডা. দীপু মনিকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেন। ডা. দীপু মনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এই জনপদের মানুষের শুধু আশা আকাক্সক্ষা প্রতিফলনই ঘটায় নাই অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত করেছেন। এই জনপদের দীর্ঘ দিনের দুঃখ নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে চাঁদপুরবাসীকে রক্ষা করেছেন।
চাঁদপুর-হাইমচরে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন বন্ধে প্রায় ২১ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, ৩৫৮ মেগাওয়াট সম্পন্ন ৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন, লাকসাম-চাঁদপুর রেললাইন সংস্কার, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ স্থাপন, ৩৫০টির অধিক প্রাথমিক ভবন নির্মাণ, শতাধিক উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও সুউচ্চ কলেজ ভবন নির্মাণ, ৪০টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ, ফিসারীজ ইন্সটিটিউট নির্মাণ, মেরিন একাডেমী নির্মাণ, কোস্টগার্ড ষ্টেশন নির্মাণ, পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ, আধুনিক ২টি পানি শোধনাগার নির্মাণ, নার্সিং ইন্সটিটিউট নির্মাণ, ৪০ টির অধিক আশ্রায়ণ প্রকল্পে প্রায় ৪০০০ টি ঘর নির্মাণ, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ৪ টি আইসিউ বেড স্থাপন, কোভিড- ১৯ মহমারিতে নিজস্ব অর্থায়নে ভাষাবীর এম.এ ওয়াদুদ আর.টি.পি.সি.আর ল্যাব স্থাপন, করোনা রোগীদের জরুরী সেবায় হাইফ্লো অক্সিজেন সুবিধা এবং তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন, রাস্তা পাকা করণ, সেতু/কালভার্ট নির্মাণসহ আরো ব্যাপক উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে।
কিন্তু গভীর পরিতাপের বিষয়, কিছু কুচক্রী মহল দেশ বিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের নীল নকশার অংশ হিসাবে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য নির্লজ্জ, মিথ্যাচার করেই যাচ্ছেন। উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে এই ধরনের মিথ্যাচার আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বি.এন.পি জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আমরা মনে করি।
বিগত পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে যারা নির্বাচন করেছিল তারাই নতুন করে আগামী নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।