রিয়াজ শাওনঃ
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এতে চরম বিপাকে পড়েছে দেশের খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। তাদের কাজ নেই। আয় কোন উৎস নেই। পায়নি তেমন কোন সাহায্য সহযোগিতা। তাদের ক্ষুধা মেটানোর যুদ্ধ করেই দিন কাটছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহামুদপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড শাহতলী গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাকাতিয়া নদী তীরে নৌকায় বসবাস করে নিম্ন আয়ের প্রায় ৫০ টি বেদে পরিবার।
বেদে সম্প্রদায়ের নেই কোন বাড়ি-ঘর। বসবাস করে নৌকায়। এরা নদীতেই ঘুরে জীবন-যাপন করে। এই জাতিগোষ্ঠীর জীবিকা নির্বাহ করে কেউ মাছ ধরে। কেউ সাপের খেলা দেখায় তাবিজ বিক্রি করে । কেউ বা আবার হকারি করে আয় করে সংসার চালায়।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে লকডাউনের কারনে এরা কোন কাজ করতে পারে না। তাই কষ্টে দিন কাটছে তাদের । এরা অবহেলিত জনগোষ্ঠী ফলে সরকারি কিংবা বেসরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতার পায় না। সরকারের পক্ষ থেকে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষদের জন্য ত্রাণ দেওয়ার কথা থাকলেও কখনো কোন ত্রাণ পায়নি এখাকার বেদে সম্প্রদায়ের মানুষ। ফলে তাদের সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে বলে জানান সেখানকার বেদে নারীরা।
রুবেল হোসেন নামে একজন বেদে শপথ নিউজকে জানান’ আমরা এখানে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ জন লোক বসবাস করি। আমরা অনেক কষ্টে আছি। ঘরে খাবার নেই। পোলাপান নিয়ে অনেক খারাপ অবস্থায় আছি।
সেখানকার বেদে সরদার জজ মিয়া শপথ নিউজকে বলেন’ আমরা কোন সাহায্য সহযোগিতার পাই না। অনেক অভাবে দিন কাটছে আমাদের। সরকার যদি আমাগো রে সাহায্য করতো তাহলে অনেক উপকার হইতো।
এই বিষয় ৪নং শাহমাহামুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান পাটোয়ারী সাপ্তাহিক শপথ নিউজকে বলেন’ ঐখানে বেদে সম্প্রদায়ের মানুষকে আমরা কোন সাহায্য সহযোগিতার করি নাই। সরকারি অনুদান যা আসে সেটা চেয়ারম্যান এর কাছে আসে। এখন তারা দেয় না কেন আমি জানি না।
এই বিষয় ৪নং শাহমাহামুদপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান জনাব স্বপন মাহামুদরে সাথে যোগাযোগ করতে ওনার মোবাইল ফোনে বার কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন না।
লকডাউনের ফলে এখানকার বেদে সম্প্রদায়ের মানুষ একেবারে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অভাব অনাটনে দিন কাটছে তাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।