আহসান হাবিব পাটওয়ারী:
শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়ন অন্তর্গত (সূচীপাড়া বাজার-অফিস চিতোষী সড়ক) পাথৈর খালের উপরের ব্রিজের বেহাল দশা লক্ষ্য করা গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার করতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণ। ব্রিজ দিয়ে ছোট-মাঝারি যানবাহন চলাচল করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন অটো চালক, ভ্যান, মোটরসাইকেল চালক এবং ব্যবসায়ীরা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২৫ বছর পূর্বে নির্মিত ব্রিজটি দীর্ঘ ১ যুগ ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। ব্রীজের উপর কাঠের তক্তা দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে যাতায়াতের কোন রকম ব্যবস্থা করলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই আগের অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায় ব্রিজটি। তার উপর দিনের বেলা চলাচল করা সম্ভব হলেও রাতে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিনেও ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি সংস্কার না করায় এখান দিয়েই পারাপার হতে গিয়ে অনেক পথচারী দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছেন।
জানা যায়, ব্রিজের পূর্ব পাড়ে খিলাবাজার স্কুল এন্ড কলেজ, খিলা বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইকরা মহিলা মাদ্রাসা এবং পশ্চিম পাড়ে সূচীপাড়া ডিগ্রি কলেজ, আল ফালাহ মডেল মাদ্রাসা, নূরানি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসাসহ শাহরাস্তি উপজেলার সদরের অফিস। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার একমাত্র সড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তাই স্থানীয় ভোগান্তী লাগবে জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল, হাসেম, ফারুক, সুমনসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, ব্রিজটি দীর্ঘদিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকলেও কেন ব্রিজটি সংস্কার করা হচ্ছে না তা জানা নেই। ব্রিজটির কারণে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে খুব কষ্ট হয়। সাইফুল নামে ১ শিক্ষার্থী জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ব্রীজ পার হয়ে কলেজে আসতে যেতে হয়। দ্রæত একটা ব্রিজ নির্মাণ সময়ের দাবি।
এ বিষয়ে চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সাইফুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ব্রীজটির বাজেট ও টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ, শীঘ্রই ব্রীজের কাজটি শুরু হবে।
চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জোবায়েদ কবির (বাহাদুর) জানান, ব্রিজটির কাজ এলজিইডি থেকে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শাহরাস্তি উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী সৈয়দ মেহেদী হাসান জানান, ব্রিজটি নির্মাণের জন্য সকল ধরনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। দ্রæত কাজ চালু হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়াও আমরা ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ করেছি। চলিত মাসেই স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ শুরু হবে।