মোঃ রুহুল আমিন:
সুদীর্ঘ ৫১ বছর পর চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর দক্ষিণ পাড়ের মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টরের অধীনে থাকা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। ১৮ ডিসেম্বর (রবিবার) বেলা সাড়ে ১২টায় শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মিন্টুর নেতৃত্বে শাহরাস্তি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহান, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ আদেল, চৌধুরী মোস্তফা কামালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এসময় তার সফর সঙ্গী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কবির হোসেন মিয়াজী, মাহমুদুল হাসান আজাদ, দেলোয়ার হোসেন, শাহ মিরন মেম্বার,মোঃ আনোয়ার হোসেন, বাবুল,লিয়াকত হোসেন, সবুজ সহ ছাত্রলীগ নেতা ইস্কান্দার মির্জা (সুমন), ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
পরিদর্শনকালে নেতৃবৃন্দ মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত অবদান রাখা সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের চেড়িয়ারা গ্রামের করের বাড়ির(মজুমদার বাড়ির) মুক্তিযোদ্ধা, তাঁদের স্বজন ও সন্তানদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এসময় আলোচনায় উঠে আসে শাহরাস্তি উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর দক্ষিণ পাড়ে অবস্থিত শাহরাস্তি উপজেলার এই অঞ্চল মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টরের অধীনে মেজর হায়দারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। এই ক্যাম্পের অধীনে এই অঞ্চলের যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাগন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে শহিদ হয়েছেন এবং এখনও জীবিত আছেন সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি নির্ভুল ও সঠিক তালিকা প্রয়োজন। যেহেতু দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫১ বছর পূর্বে তাই এই ক্যাম্পে থেকে যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের একটি নির্ভুল ও সঠিক তালিকা পাওয়া কঠিন হবে, তবে পাওয়া যাবেনা এমন নয়। এই ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধাদের একটি তালিকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ শাহজানের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এই ক্যাম্পের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারি জীবিত ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা দ্রæত হস্তান্তর করার জন্য করের বাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ রেদোয়ান হোসেন মজুমদার সেন্টুকে জীবিত অপরাপর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আলাপ-আলোচনা ও পরামর্শ করে প্রদানের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। তালিকা অধিকতর নির্ভুল ও সঠিকতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এই বাড়িতে থাকা ক্যাম্প সম্পর্কে যেসকল জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধা জানেন তাঁদেরকে তথ্যদিয়ে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়। তালিকা পাওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এই ক্যাম্পের ঐতিহ্য পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা করা হবে।