রাফিউ হাসান
শাহরাস্তি পৌর এলাকার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশ ঘেঁষেই অবস্থিত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়। সরকারি এই দপ্তরটি নিজস্ব দপ্তরের ১০৭ জন কর্মীর বিপরীতে ৭০ জন কর্মী নিয়েই চালাচ্ছে তাদের কার্যক্রম। ৯টি উপ-কার্যালয়ের মাধ্যমে পুরো শাহারাস্তি জুড়ে প্রতিবছর প্রায় হাজার খানেক গর্ভবতী মহিলার সিজারবিহীন জন্মদানে অন্যান্য অবদান রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। সীমিত খরচে ও দক্ষ জনবলের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদানে ইতিমধ্যে শাহারাস্তিতে প্রশংসা যুগিয়েছে সরকারের এই দপ্তরটি।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ভাষ্যমতে, ২০২১ সালে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৯শ ৫০ নবজাতক নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে জন্ম নিয়েছে। ২০১৯ সালে যে সংখ্যাটি ছিলো ৯৩৪। সরকারি হাসপাতাল, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পবিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গর্ভবতী মায়েরা প্রাকৃতিক নিয়মে তাদের সন্তান জন্ম দেন।
জানা গেছে, লোকবল সংকট নিয়েই শাহরাস্তি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি উপ-কার্যালয়ের মাধ্যমে ৯জন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারের বিপরীতে ২জন, ৯জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার বিপরীতে ৮জন, ৯জন আয়া ও পিয়ন পদের বিপরীতে ২/৩ জন লোক দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
উপজেলার মধ্যে চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রটি মডেল। ওই কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক ইকবাল হোসেন বলেন, অর্থ ও হয়রানি ছাড়াই নবজাতক ও প্রসূতিদের সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়া হয়। গভীর রাতে এসেও এখানে সেবা পান প্রসূতিরা।
উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা বিভাগের (অতিঃ দায়িত্ব) মোঃ মফিজুর রহমান বলেন, গর্ভবর্তী মা ও নবজাতকদের চিকিৎসায় আন্তরিকভাবে কাজ করা হচ্ছে। ১০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মীরা নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। আমরা স্বাভাবিক প্রসবে উৎসাহিত করছি।
আজ,
বৃহস্পতিবার , ৫ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ২০ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।