শাহরাস্তি প্রতিনিধি:
শাহরাস্তিতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত মামলার এজাহারভুক্ত দ্বিতীয় আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলার দুই মাসেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও আসামীকে আইনের আওতায় আনতে না পারায় অসহায় ধর্ষিতার পরিবাররের দিন কাটছে ভয় আর আতংকে। ধর্ষকদের সাথে আঁতাত করে স্থানীয় কতিপয় মানুষ নির্বিকার রয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন পরিবারের সদস্যরা। যার কারণে ধর্ষিতা ও ধর্ষিতার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ও আতঙ্কে ভুগছে বলেও দাবি তাদের।
প্রতিনিয়তই ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে অভিযুক্তদের স্বজনরা।
মামলার এজাহার ও ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৫ নভেম্বর শাহরাস্তি উপজেলার ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী (১৬)কে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে নিয়ে পাশবর্তী ফটিকখিরা গ্রামের মজিব মাস্টারের বাড়ি সংলগ্ন বাগানে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। এই ঘটনায় উপজেলার দারুনকরা মিয়াজী বাড়ির জয়নাল আবদীনের পুত্র সাইদুর রহমান আরব (২২) ও একই গ্রামের সুলতান মিয়ার পূত্র মোঃ মহিন (৩০) এর বিরুদ্ধে শাহরাস্তি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(১)৩০ ধারায় মাললা করে ধর্ষিতার মা রাবেয়া বেগম। শাহরাস্তি মডেল থানায় যার মামলা নং ৫, তারিখ ১২/১২/২১ ইং। এরপর পুলিশ মামলার অভিযুক্ত প্রথম আসামী সাইদুর রহমান আরবকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠালেও মামলার দ্বিতীয় আসামীকে ধরতে পুলিশের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
এদিকে এ ঘটনাকে পুঁজি করে এলাকার একটি কুচক্রী মহল বাণিজ্যে মেতে আছে পুলিশকে মেনেজের নামে। এমনকি মামলা তুলে নিতেও হুমকি-ধামকি দিচ্ছে ধর্ষিতার পরিবারকে। মামলা তুলে না নিলে ধর্ষিতার পরিবারকে এলাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে তারা। অপরদিকে পুলিশের অবহেলায় বিচারের আশায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন ধর্ষিতার পরিবার।
এদিকে এলাকার সচেতন মহল এমন নেক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এ ধরনের ঘটনায় জড়িত অপরাধীরা অত্র এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করবে বলে মনে করেন। কান্নাজড়িত কন্ঠে ধর্ষিতার মা বলেন, আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন সফল রাষ্ট্র নায়ক ছাড়াও একজন মা। তিনি মা হিসেবে সন্তানের হেনেস্তা হওয়ার কষ্ট বুঝবেন। আমি আমার কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণকারীদের বিচারের ভার তাঁর উপর ছেড়ে দিলাম। তিনি আরো বলেন, আমাদের শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জের অভিভাবক সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয়ের নিকটও আমি আমার মেয়ের ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।
এ বিষয়ে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল মান্নান জানান, মামলার প্রথম আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।