মোঃ রুহুল আমিন:
শাহরাস্তিতে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সাংবাদিক মোঃ জসিম উদ্দিনের ছেলে রিমন হোসেন জনির (১৮) অর্ধগতিল মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেল ৩টায় নিজ বাড়ির ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিকেলে বাড়ির লোকজন ডোবায় ঔষধ দিতে গিয়ে সেখানে অর্ধগলিত একটি মরদেহ দেখতে পায়। পরে শাহরাস্তি থানায় বিষয়টি অবহিত করলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মান্নান ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহ উদ্ধার করার পর সন্ধায় সাংবাদিক জসিম উদ্দিনের বড় মেয়ে রিসনাত জাহান জুমু বড়দের মরদেহের পোশাক ও মানি ব্যাগে থাকা মায়ের ছবি দেখে তার ভাইয়ের মৃতদেহ শনাক্ত করেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শাহরাস্তি উপজেলার শোরসাক এলাকার ইব্রাহীম মিজি বাড়ির সাংবাদিক জসিম উদ্দিনের ছেলে রিমন হোসেন জনি সুচিপাড়া ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গত ২ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছে সে। পারিবারিকভাবে বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও কোথাও না পেয়ে গত ১৮ নভেম্বর থানায় নিখোজ ডায়রি করেন। এদিকে ডায়রীর দুদিনের মাথায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। নিহতের বাবা সাংবাদিক জসিম উদ্দিন জানান, তার ছেলে গত ২ নভেম্বর থেকে নিখোজ রয়েছে পারিবারিকভাবে বিভিন্ন স্থানে তার খোজ নেয়া হয়েছে। করোনা কালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় একটি কপি হাউজে তাকে কাজ করতে দেয়া হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ার পর সেই চাকুরি ছেড়ে জনি আবার কলেজ মুখি হয়। গত ৩০ অক্টোবর জনি কলেজে যায়। জসিম উদ্দিন ও জনির কারো সাথে কোন শত্রুতা নেই বলেও তিনি জানান। শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আঃ মান্নান বলেন, মৃতদেহের খবর পেয়ে তৎক্ষণিক ঘটনারস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেছি। সাংবাদিক জসিম উদ্দিন ও তার মেয়ে মৃতদেহটি সনাক্ত করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই ঘটনার রহস্য জানা যাবে। উল্লেখ্য সাংবাদিক জসিম উদ্দিনের স্ত্রী রেহানা বেগম দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৯ বছর আগে ইন্তেকাল করেন। সেই ঘরে রিমন হোসেন জনি ও রেসনাত জাহান জুমু দুই সন্তান রয়েছে। এরপর জসিম উদ্দিন আবারো বিবাহ করেন। এই সংসারেও তার দুই সন্তান রয়েছে।