আজকাল কার দিনে ক’জনই বা সত্য বলে, সত্য তুলে ধরে। আর সেই সত্য বলার অঙ্গীকার নিয়েই গতবছর আজকের দিনে যাত্রা শুরু করে সাপ্তাহিক শপথ। যে অঙ্গীকার নিয়ে শপথ তার যাত্রা শুরু করেছে সেই অঙ্গীকার ধরে রাখতে কখনো, কখনো অনেক ঘাত প্রতিঘাত সইতে হয়, কিংবা পত্রিকার সম্পাদক মহাদয়কে পড়তে হয় কঠিন পরিস্থিতির মুখে। অথবা সত্য বলতে যেয়ে কখনো ক্ষমতার দাপটে অনেক মিথ্যে অপবাদও শুনতে হয় বা হয়েছে। কারণ আমার মতে সংবাকর্মীদের দুদিকেই যন্ত্রণা সইতে হয়। কারন, আমরা যখন কারো দুনীতী কিংবা অনিয়মের বস্তুুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করি তখন সেই অনিয়মকারী প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যে অপবাদ দিয়ে নানা বদনাম রটায়। আর যদি কোন ক্ষমতাবান ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া সত্ত্বেও বাস্তবতা ভেবে নিজেদের নিরাপত্তায় সেই সংবাদ প্রকাশ না করি তাহলে সাধারণরা বলেন, প্রতিবেদক মোটা অংকের অর্থ পেয়ে সংবাদ প্রকাশ করেননি। তো আমাদের যন্ত্রনাটা দুদিকেই। সংবাদ প্রকাশ করলে এক দোষ, শুনতে হয় নানা অপবাদ। আর বাস্তবতায় নিজেদের নিরাপত্তায় না করলেও শুনতে হয় মিথ্যে অপবাদ। যাইহোক পাঠক আমি সেদিকে যেতে চাই না। মূলত শপথের কিছু কথা তুলে ধরার জন্যই আমার সংক্ষিপ্ত কলম ধরা। আমার সাংবাদিকতার শুরু থেকে এ পর্যন্ত চাঁদপুরের যতগুলো সাপ্তাহিক এবং দৈনিক পত্রিকা দেখেছি, তারমধ্যে শপথ হচ্ছে একেবারেই একটি ভিন্ন ধারার পত্রিকা। আর আমার মনে হয় এ দাবিটুকু আমার একার নয়, শপথের যারা নিয়মিত পাঠক তারাও নিঃসন্দেহে আমার এই দাবির সাথে একমত পোষণ করবেন। পাঠক, আমি যে প্রসঙ্গে শপথকে ভিন্ন ধরার দাবি করেছি তার বিশ্লেষণ অবশ্যই আপনাদেরকে বলছি। আর তা হলো শপথে প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত প্রকাশ হয়ে আসছে। প্রান্তিক মানুষের দেশ ভাবনা, নানান পেশার মানুষ, ব্যর্থ মানুষের জীবন গল্প, সফলতার পূর্বপাঠ ইত্যাদি নানান বিষয় ভিত্তিক সংবাদ। আমরা বরাবরই দীর্ঘ বছরগুলোতে দেখে এসেছি যে চাঁদপুর থেকে যে ক’টি সাপ্তাহিক পত্রিকা বের হতো এবং বের হয়ে আসছে। সেগুলোর একেতে যেমন নিয়মিত প্রকাশনা নেই। অন্যদিকে সচরাচর বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত একই সংবাদ কপি করে প্রকাশ করা হয়। সেগুলোতে তেমন কোন ভালো বিষয় ভিত্তিক সংবাদ প্রকাশ চোখে পড়েনি। আর সাপ্তাহিক শপথ তার শুভ সূচনা থেকে তার ভিন্ন মাত্রাটা এখনো ধরে রেখেছে। প্রতি সপ্তাহের সোমবার শপথ নিত্যনতুন বিষয় ভিত্তিক কিংবা নতুন কোন তথ্য বহুল সংবাদ প্রকাশ করে পাঠকের দ্বারপ্রান্তে হাজির হচ্ছে। এমনও দেখা গেছে যে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে চাঁদপুরের সিনিয়র অনেক সাংবাদিক এই শপথ পত্রিকার প্রকাশিত নিউজ সংগ্রহ করে তাদের নিজ, নিজ জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করছেন। এছাড়াও চাঁদপুরের বিভিন্ন দৈনিকেও মাঝে মাঝে শপথের প্রকাশিত সংবাদ চোখে পড়ে। আর এতেই প্রমাণিত হয় শপথ কতটা ভিন্ন মাত্রার পত্রিকা। তবে আমি কোন সংবাদকর্মীকে ছোট করে কথা বলছি না। শপথের গুণ কিংবা ভিন্নতার কথার প্রসঙ্গে আমার এ বিষয়টি তুলে ধরা। যখন কেউ শপথ থেকে নিউজ সংগ্রহ করে তাদের জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ করেন, তখন আমিও অনেক আনন্দিত হই। কারন আমিও যে শপথ পরিবারের একজন। তখন ভাবি এটাই আমাদের দক্ষতা কিংবা এটাই আমাদের ক্রেডিট, যখন কেউ শপথের নিত্যনতুন সংবাদকে ফলো করেন।
গত বছর থেকে শুরু করে দেখতে দেখতে সাপ্তাহিক শপথ আজ একটি বসন্ত পূর্ণ করেছে। এজন্য শপথকে জানাই আমার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আজকের এই দিনে আমি প্রত্যাশা করবো শপথ তার এই নিয়মিত প্রকাশনা এবং নিত্যনতুন সংবাদ প্রকাশের ভিন্নতা ধরে রেখে আগামীতেও সাফল্যের সাথে পথ এগিয়ে চলবে। সমস্ত বাঁধা বিপত্তিকে পেছনে ফেলে শপথ পৌঁছবে তার সাফল্যের চুড়ায় এমনটাই প্রত্যাশা।
লেখক পরিচিতি।
গীতিকার ও লেখক
চীপ রিপোর্টার সাপ্তাহিক শপথ।
সম্পাদক ঃ সাহিত্য ম্যাগাজিন জানালা।
আজ,
বুধবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ১৯ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।