সম্পাদকীয়
মাদকের ব্যাপকতা কোনভাবেই থামছে না। জনজীবনের অভ্যন্তরে বাস করে দুরারোগ্য মহাব্যাধী চোরা কারবারি এবং মাদক কারবারি। মাদক পৃথিবীতে মানবজাতির জীবন ব্যবস্থার এক বহুরূপী ভাইরাসের নাম। কোন জায়গায় নেই মাদকতার প্রভাব। যার যেখানে যে দায়িত্ব পালন করার কথা সে দায়িত্বে যখন বড় ধরনের অকর্মের ঘটনা প্রকাশ পায় তখন ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে এরাও মাদকের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। মাদকাসক্ত পরিবারের সদস্যরা জানে মাদকতার সদস্য থাকলে পরিবারে কি যে যন্ত্রনা। এই বিষফোঁড়াটা সমগ্র জাতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে। মাদকের ব্যবহার দ্রæত ছড়িয়ে পড়ছে প্রত্যন্ত অ লে। যুব সমাজের মাঝে মাদকের প্রতি আগ্রহ মাদকের প্রাপ্তি মাদকে সয়লাব এখন নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের আনাচে-কানাচে অলিতে গলিতে গ্রাম গঞ্জের পরোতে পরোতে দিনে দিনে মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে চলছে। যুবসমাজকে মাদকতার ছোবল থেকে রক্ষা না করতে পারলে দেশের জনশক্তির বেশির ভাগেই ধ্বংসের মুখে পতিত হবে। মাদক দ্রব্যের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার নিয়মতান্ত্রিক ব্যবহার এই দুইটাকে সামঞ্জস্য সাবলীল রাখতে পারলে সঠিক পথে মানুষ জীবনের জন্য ব্যবহৃত মাদকের আদান-প্রদান ঠিক রাখার পরেও ভালো পর্যায় আছে চাঁদপুর জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে শাহারাস্তিতে ৫০ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যদি পর্যাপ্ত জনবল এবং সশস্ত্র অবস্থায় থাকে সরকার যদি এদিকে সঠিক নিয়ম তান্ত্রিক যোগান দিতে পারে তাহলে মাদকের আইনি ব্যবহার আইনি প্রয়োগে সব ধরতে পারলে আটকাতে পারলে দেশের যুবসমাজ বিপদগামী মানুষের জীবন যদি সুন্দর করে দেয়া যায় তাদের দ্বারাও সমষ্টিগতভাবে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করা সম্ভব এবং সুস্থ সমাজ তৈরি করা সম্ভব। দেশের আইন প্রশাসন যত তৎপর হয়ে মাদকের ব্যাপকতা ঠেকাতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে মাদক কারবারি অধিকহারে তৎপর হয়ে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মাদকের ব্যাপকতা বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে চলছে প্রশাসন। যদিও প্রশাসন এ ব্যাপারে একটুও ছাড়তে নারাজ। কিন্তু এরপরও দেশের মাদক সমস্যা যেন কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। মাদক নির্মূলে পরিবারের সচেতন ও তার গুরুত্ব হীনতা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। যদি ব্যক্তি উদ্যোগে যুবসমাজকে মাদকের ছোবল থেকে মানুষকে রক্ষা করা না যায় তাহলে সমাজের বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকাÐগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে থাকবে। দেশের সচেতন মহল এসব বিষয়ে উদ্বিগ্ন। মাদকের প্রভাবের কারণে যুব সমাজের মস্তিষ্ক না শুধু যেকোনো বয়সের লোকের দ্বারা প্রতিনিয়ত অপরাধ প্রবণতা বাসা বাঁধছে। যার ফলে সমাজের মধ্যে অনৈতিক কর্মকাÐের বিস্তার ঘটতে থাকবে। আর এইসব সামাজিক সমস্যার মূলে বিভিন্ন ঘটনার সূত্রপাত একত্রিত হয়ে আছে। সংসার ভেঙে যাওয়া পরিবারের মধ্যে কলহ লেগে থাকে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাঝে ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই অনতিবিলম্বে সরকারের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর মাদকের করাল গ্রাস থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে যেকোনো ধরনের মাদক সংক্রান্ত ঘটনার ফলপ্রসূ বিচার ব্যবস্থা প্রকাশ্যে চালু করা জরুরি।