সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের সার্বিক আইন প্রশাসন ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যময় অবস্থা পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ ব্যক্তিগত জীবন যাত্রার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ লোক স্বনির্ভর চিন্তার উপর নির্ভর করে চলাফেরা করে। যেটা বিগত ১০ বছরের মধ্যে পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। ব্যক্তিগত চিন্তা-চেতনা মতে থাক অন্য সব নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। এটাই বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট। ২৫ এপ্রিল দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল দশা। হাসপাতাল হচ্ছে মেডিকেল কলেজ হচ্ছে বিশাল বিশাল আয়োজন হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি জনগণের চিন্তা চেতনার বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। জনগণ জনগণের জায়গায় থেকে যে চিন্তা-চেতনার ফলন পাওয়ার কথা সেসব আচরণ থেকে দেশের মানুষ একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এটা ভুল পদ্ধতি কারণ জনগণের সার্বিক সেবা নেবে সকল সেবামূলক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশাসন থেকে শুরু করে সিটি কর্পোরেশন ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি সদস্য প্রত্যেককেই স্থায়ী অস্থায়ীভাবে সরকার নিযুক্ত করেন জনসেবার জন্য কিন্তু বেশির ভাগ জনগণ কি এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সঠিক সেবাটা পাচ্ছে? সেই দিকে না তাকিয়ে সেইটা মনিটরিং না রেখে এটা করছে ওটা করছে এ ভবন করছে ওইটা করছে কিন্তু জনগণের ভিতরের কি করছে জনগণের মানসিকতার কি হচ্ছে জনগণ ও মানসিকতার পরিবর্তন জনগণের মধ্যে যে নিরব হতাশা কাজ করছে সেটার খবর সরকার নিচ্ছেনা রাখছো না। যদি রাখতো তাহলে প্রতিটি কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরগুলোতে বা কেন্দ্রগুলোতে অবশ্যই পূর্ণ স্বাস্থ্য সেবামূলক বিষয়গুলো স্থাপন করা হতো। নতুন করে জনগণের দৃষ্টিকে আকাশে উঠিয়ে রেখে লাভ হবে না। জনগণ দেশের প্রায় প্রত্যেকটি আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ভুগছে। সরকার আমলাদের মাধ্যমে জনগণকে কি পরিমাণ হেনস্তা করছে তা বিশ্বের কাছে জানান দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। কারণ বিশ্ব জেনে গেছে দেশের আমলাতন্ত্রের ক্রিয়াকলাপ। তাই সরকারের উচিত জনগণের জন্য যা যা করা হয়েছে সবকিছুর পরিপূর্ণ পর্যবেক্ষণ পরীক্ষণ সম্পৃক্তকরণ এক কথায় সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিপূর্ণ জনসেবার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। এটা হবে সবচেয়ে বড় জয় আমার অল্প আছে স্বল্পতা পরিপূর্ণ আছে এটাই উত্তম। আমার অল্প নেই সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিলাম আমার সব আছে এসব কথা ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না। আন্তর্জাতিক গন্ডির সাথে দেশকে তুলনা করতে গিয়ে দেশের তৃণমূলের জনগণের পরিস্থিতি তুলে ধরা হোক বিশ্বদরবারে। প্রকাশ করা হোক তবে সরকারের উন্নয়নের চেহারাটা খুলে যাবে। আমরা সরকারের বিরোধিতা করার জন্য কথা বলছি না। কথা বলছি বাস্তব পরিভ্রমণ থেকে বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে। বলছি দেশের সচেতন মহলের দাবি যে কোন একটা বিষয় স্থাপিত হয়েছে তার পরিপূর্ণ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে রূপ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছে।