স্টাফ রিপোর্টার
মাত্র তিনমাস আগে বিয়ে হয়েছে কিশোরী শান্তনা খাতুন (১৬)এর। এখনো হাতের উপর আঁকা মেহেদীর রং মুছেনি। অথচ চিরতরে চলে গেলো এ রহস্যময় পৃথিবীর মায়া ছেড়ে। স্বামীর বাড়ি থেকে বেড়াতে এসে বুধবার দুপুরে বাবার বাড়িতে মৃত্যু হয় তার। এ মৃত্যু নিয়ে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে রহস্য। চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের কুড়ালিকান্দি গ্রামের শান্তনার বাপের বাড়ি থেকে ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শান্তনা খাতুন ওই গ্রামের রহিম বাদশা হাওলাদার কুড়ালির কন্যা এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের ফয়সাল কুল আলীর স্ত্রী।
সান্তনার মৃত্যুতে পুরো এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দাবি করছেন, এই মৃত্যুর পেছনে কোন না কোন রহস্য লুকিয়ে আছে। এবং তারা প্রকৃত আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্যে পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়াও ঘটনার দীর্ঘ সময় পাড় হওয়া সত্ত্বেও পুলিশের মামলা দায়েরে দেরি হওয়ায় কিছুটা হতাশ তারা। অবশ্য বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের তরফ থেকে মামলা হবে বলে জানালেন পুলিশের কর্মকর্তা।
জানা যায়, গত ৩ মাস আগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ফয়সাল কুল আলীর সাথে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শান্তনা বাপের বাড়িতেই থাকতো, এবং স্বামী ফয়সাল নিয়মিত এখানে আসা যাওয়া করতে। তাদের মধ্যে কোন ঝগড়া-বিবাধ ছিলো না বলে জানা গেছে।
আরো জানা যায়, সান্তনার ছোট বোন সেলিনা স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে এসে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচানো শান্তনার ঝুলন্ত লাশ প্রথমে দেখতে পায়। সাথে সাথে সে ডাক-চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। যদিও এসময় শান্তনার স্বামী বাড়িতে ছিলো না। পরিবার পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে মৃত্যুটি আত্যহত্যা নয়, কেউ না কেউ তাকে হত্যা করে এভাবে জুলিয়ে রেখে চলে গেছে। তারা এই হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেন। এবং আসামিকে দ্রুত আটক করার জন্য দাবি জানান।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পক্রিয়া চলছে। এবং লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।