বিল্লাল ঢালী:
চাঁদপুর মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চে ডাকাতির সময় একজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে যাত্রীরা। সোমবার সকাল ১০টায় চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে এম ভি শাহ্আলী-৪ যাত্রীবাহী লঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।
আটক বিল্লাহ হোসেন (৩৫) চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাটেরগাঁও ইউনিয়নের খুরুমখালী গ্রামের বাসিন্দা। যদিও বর্তমানে সে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে বলে দাবি করে।
জানা যায়, সকাল সাড়ে নয়টায় লঞ্চটি রাজরাজেশ্বরের মান্দার বাজার এলাকায় লঞ্চটি পৌঁছালে ১৭-১৮ সদস্যদের একটি ডাকাত দল স্পিড বোর্ড নিয়ে লঞ্চে হামলা চালায়। এসময় তারা কয়েকজন যাত্রীকে চড় থাপ্পড়, চাপাতি ও দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে যাত্রীদের সাথে থাকা স্বর্ণালংকার নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। কিন্তু যাওয়ার সময় ডাকাত দলের সদস্য বিল্লাল হোসেন খানকে রেখেই অন্যরা পালিয়ে যায়। এ সময় যাত্রীরা তাকে আটক করে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে নৌ পুলিশের সদস্যরা এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ডাকাত সদস্য বিল্লাল হোসেন জানায়, সে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন পল্টুন কর্মচারী। ডাকাতরা সকালে তাকে কিডনাপ করে সাথে নিয়ে এসেছে। আমি তাদের দলের কোন সদস্য নই।
লঞ্চের মালিক আক্তার হোসেন বলেন, সকাল ৮টায় লঞ্চটি শরিয়তপুরের নরিয়া ঘাট থেকে চাঁদপুর এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সকাল পৌনে ১০টায় চাঁদপুর রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের মাদ্দার বাজার এলাকায় আসার পর হঠাৎ ১৭-১৮ জনের একটি ডাকাত দল দুটি স্পিড বোর্ড নিয়ে আচমকা লঞ্চে প্রবেশ করে যাত্রীদের উপর হামলা চালায়। এসময় তারা যাত্রীদের সাথে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ব্যাগসহ অনেক কিছু নিয়ে দ্রুত ফিরে যায়। কিন্তু ডাকাত সদস্য বিল্লাল স্পিড বোর্ড মিস করলে সাথে সাথে যাত্রীরা তাকে আটক করে গণধোলাই দেওয়া শুরু করে। এ বিষয়ে চাঁদপুর নৌ পুলিশ সুপার উপস্থিত না থাকায় কর্তব্যরত পুলিশ পরিদর্শক কেউই বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
প্রসঙ্গত; চলতি মাসে দুই দুইবার মতলব উত্তরে ষাটনল থেকে গজারিয়া মাঝামাঝি সময়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে লঞ্চযাত্রীরা আতঙ্কের মধ্যেই ভ্রমণ করছে।