চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে কাঙ্খিত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। নদীতে গিয়ে খরচ তুলতে না পারায় হতাশ জেলেরা। আড়ৎদাররা বলছে এবছর নদীতে মাছ কম। এখন ইলিশ কম পাওয়া গেলেও ভরা মৌসুমে মাছ ধরা পড়বে। তাই হতাশ হওয়ার কিছু নেই বলে জানান ইলিশ গবেষক।
সরেজমিনে মেঘনা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, মেঘনা নদী থেকে খালি হাতে ফিরছে জেলেরা। যে পরিমাণে মাছ পাওয়া যায় তা দিয়ে নৌকার জ¦ালানী খরচ তোলাই কঠিন হয়ে পড়ছে। এতে দৈনন্দিন সাংসারিক খরচ মেটাতে ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ছে বলে জানায় তারা।
জয়নাল গাজী, বাচ্চু মিয়া ও সফিক সর্দার জানায়, জাটকা রক্ষা কার্যক্রমের পর ভেবেছি মাছ পাব। কিন্তু যে মাছ পাওয়া যায় তা দিয়ে নৌকার জ্বালানী খরচও তোলা সম্ভব হয় না। এতো ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ছি।
চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাটের আড়াৎদার সাইফুল ইসলাম ও মাসুম জানান মার্চ এপ্রিল দুই মাস অভাশ্রম শেষে নদীতে মাছ অনেক কম ধরা পড়ছে। আর তাই ব্যবসায়ীরা আছে বিপাকে।
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর তথ্যমতে, চলতি বছর নতুন করে প্রায় ৩৭ হাজার ৮শতাধিক কোটি জাটকা ইলিশ জনতায় যুক্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান বলেন, এখন নদীতে পানি বেশে তাই মাছ তুলনামুলক কম আসাটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া জুন-জুলাই ঢাল সিজন। অচিরেই মাছ ধরা পড়বে বলে আশা করছে এ কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব দক্ষিণ ও উত্তর উপজেলায় ৫১ হাজার ১শ ৮৯ জন জেলে রয়েছে।
নজরুল ইসলাম আতিক