ইকবাল বাহার:
আমরা মায়ের গর্ভ থেকে দুনিয়াতে এসে যে ভাষাটা শুনেছি সেটা হলো বাংলা ভাষা। আমার মাকে যেমন ভালোবাসা তেমনি ভাষাটাকেও ভালোবাসি। ১৯৪৭ দেশভাগের পর থেকে আমরা যে রাষ্ট্র পেলাম সেখানে তাদের রাষ্ট্র ভাষা ছিলো উর্দু। সেসময় তারাও ছেয়েছিলো আমাদেরও ভাষা হোক উর্দু। কিন্তু আমাদের বাংলা ভাষার মানুষ তা মেনে নিতে পারিনি। ধানুয়া জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে এসব কথা বলেন ফরিদগঞ্জে ৯নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ধানুয়া জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাজী শেখ মোঃ শাহ্ আলম। গতকাল রবিবার সকাল ফরিদগঞ্জ ৯ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নে ধানুয়া জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তিনি আরও বলেন দুই বাংলার মধ্যে ভাষা নিয়ে বাকবিতন্ডায় চলতেই থাকে এবং এরপর শুরু হলো ছাত্রদের প্রবল আন্দোলন। ১৯৪৮ সালে ২৯ শে নভেম্বর পাকিস্তান সরকারের উন্নয়নমুলক একটি সভায় খাজা নাজিমুদ্দিন তখনকার শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা হবে উর্দু। এই ঘোষণার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীরা কঠোর আন্দোলনে নেমে পড়েন। তখনকার রাজপথে একটাই ¯স্লোগান রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই। ১৯ ৫২ সালে সেই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন সালাম, রফিক, বরকতসহ আরও অনেকে। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানতে হবে তাহলে ভাষায় গুরুত্ব বুঝা যাবে।
ধানুয়া জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মোঃ শাহাজান, মোঃ শহিদ, মোঃ রকিব মিজি, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় যুবলীগের সদস্য মোঃ মমিন,বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বিজ্ঞান) মোঃ নুরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক (কৃষি) মোঃ মোবারক হোসেন, সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মোসাঃ কুলছুমা বেগম, সহকারী শিক্ষক (গনিত) মোঃ মাহবুবুল হাসান, সহকারী শিক্ষক (ইংরেজী) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, সহকারী শিক্ষকা (হিসাববিজ্ঞান) ফোজিয়া বেগম, সহকারী শিক্ষক (ধর্ম) মোঃ আলমগীর হোসেন, লাইব্রেরীয়ান মোঃ শহিদ উল্লাহ, এনটিআরসি নবযোগদানকৃত শিক্ষকবৃন্দ ও অফিস সহকারী মোঃ হেলাল উদ্দিনসহ অনেকে।