মো. হোসেন বেপারী:
পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে ২০১৪ সালে প্রবাসী পাড়ি জমান মমিনুল হক মজমুদার টিটু। সেই পরিবারের চোখে এখন অজস্র জল। মালয়েশিয়ায় একটি লোহার পিলারের নিচে চাপা পড়ে মারা যান তিনি। সে হাজীগঞ্জ পৌরসভার এনায়েতপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ির বাসিন্দা। তার বড় ভাইও গত দুই বছর আগে প্রবাসেই মারা যান। একই পরিবারের দুইজন প্রবাসে মৃত্যু হওয়ায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
সরজমিনে গেলে মমিনুল হক মজমুদার টিটুর মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছেলে সাইফুল কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, শুধু বাবার মৃতদেহটি একবার দেখতে চাই। কলেজ পড়ুয়া মেয়ে রাফা ইসলাম বাবাকে দেখার আকুতি জানিয়ে ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাঁদতে থাকেন। স্ত্রী হাসিনা স্বামীর শোকে বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন। এদিকে টিটুর মৃত্যুতে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
স্ত্রী হাসিনা কান্না জড়িত কন্ঠে স্বামীর মৃতদেহ ফিরে পেতে সাহায্য ও অসহায় পরিবারটির দিকে দৃষ্টি দিতে সরকারের কাছে আবেদন জানান।
নিহত টিটুর চাচা জাহাঙ্গীর মজুদার জানান, টিটু মঙ্গলবার বাংলাদেশের সময় ভোর ৭টায় মালয়েশিয়ার ডোরাঙ্গানো নামক স্থানে মারা যান। মৃত দলিলুর রহমান মাস্টারের ছেলে টিটু। সে ৩ ভাইয়ের মধ্যে ছোট। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।
টিটুর একমাত্র বোন রৌশন আরা। তিনি বলেন, তিন ভাইয়ের কেউ আর রইলো না। সবাই তাদের ছেড়ে চলে গেলো। পুরো পরিবারটি এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। উপার্জন করার মত আর কেউ নেই।
জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদুল ইসলাম মৃতদেহ দেশে আনার জন্য সকল সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, প্রবাসে এমন মৃত্যু কারো কাম্য নয়। এটি একটি মর্মাহত ঘটনা।