সম্পাদকীয়
সামাজিকতা মানসিক মনস্তাত্ত্বিক পরিস্থিতি। মনস্তাত্ত্বিক সামাজিকতার ঘাটে ঘাটে লুকিয়ে রয়েছে বিশাল অসামাজিকতা এবং অসামাজিকতার বিভিন্ন প্রকারের চুরি ছিনতাই রাহাজানি মাদকতা সমাজের বেশিরভাগ অসামাজিক কার্যকলাপ এর মূল সূত্রপাত হয়ে থাকে মাদকদ্রব্য গ্রহণে থেকে। ২৬ ফেব্রুয়ারি দৈনিক শপথ পত্রিকায় কয়েকটা মাদকের খবর প্রকাশ হয়েছে তাহলে মাদকতার সাথে সম্পৃক্ততা মাদকের সাথে উঠে পড়ে লাগা মাদকতার বেড়াজালে ব্যক্তি থেকে পরিবার পরিবার থেকে পরিজন ধীরে ধীরে কোটা সমাজ ব্যবস্থার তৃণমূলে কুঠারাঘাত যেন থামছেই না। প্রশাসন তাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন প্রকাশ করে সতর্কতামূলক পরিশুদ্ধতামূলক বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করছে তবু কেন মাদকের ছড়াছড়ি। মাদক প্রতিরোধ করার গতি প্রতিনিয়ত ছড়াচ্ছে। প্রতিরোধের প্রচেষ্টা কার্যকর হলেও এর প্রভাব বিস্তার ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে বখাটেদের হাতে। মাদকাসক্তের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলছে। মাদকতার বিস্ফোরণ যে হারে ছড়াচ্ছে প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বিস্তর ফারাক বিদ্যমান। জনসচেতনতা জনগণের অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া যত দ্রুত ব্যাপকভাবে আলোচনায় আনা যাবে এবং জনগণের মানসিকতায় প্রতিরোধ পদ্ধতি বৃদ্ধি করা যাবে তবে এই মাদকের ব্যাপকতা কমানো সম্ভব। প্রশাসনের অবস্থান সব জায়গায় সার্বক্ষণিক থাকে না। কিন্তু সাধারণ জনগণ জনপদে অবস্থান করে বসবাস করে মাদকের সর্বশেষ খবর জনগণের কাছে যেমন থাকবে বড় ধরনের খবর থাকবে কিন্তু ছড়ানো ছিটিয়ে ছিটিয়ে থাকা সব খবর সাধারন জনগণের কাছেই থাকে। সাধারণ জনগণকে যদি আশ্বস্ত করা যায় নিরাপত্তা দেয়া যায় তাহলে মাদকের সর্বশেষ বিস্তারের খবরটা ও সাধারণ জনগণ থেকে প্রশাসনের কার্যকরী পরিষদের পৌঁছানো সম্ভব। কারণ মাদক গ্রহণকারী মাদক বিস্তারকারী মাদকের ব্যবহারকারী চক্র জালের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এদের নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত নিজেদের অপকর্ম বাস্তবায়ন করার জন্য খবর প্রকাশকারীকে খুন শঙ্কা এবং পরিবারের নারী ও শিশুদের নিরাপত্তার অভাব থেকে যায়। তাই মাদকের ঢাকাতে জনগণ নির্ভয় প্রদানের নিশ্চয়তা দিতে পারলে মাদকের ব্যাপকতা ঠেকানো সম্ভব।