মোঃ রাছেল:
পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার প্রচারণা, গণসংযোগ ও ভোটারদের সাথে মতবিনিময় শুরু করেছে কচুয়া উপজেলার সকল ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। আজ শনিবার আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৃণমূল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বাচাই করার লক্ষ্যে ৩নং বিতারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। বর্ধিত সভাকে ঘিরে এলাকা সরগরম হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান ইসহাক সিকদার, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি রাজীব আহমেদ রাজু, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কবির মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক সোহাগ খান, ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ইসমাইল ভূইয়া। এদের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান ইসহাক সিকদার দুইবার নির্বাচিত হওয়ায় এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী সমর্থকরা আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নতুন নেতৃত্ব চাচ্ছেন।
শুক্রবার সরজমিনে বিতারা ইউনিয়নের মাঝিগাছা, বুধুন্ডা, হরিপুর, বাইছারা, বিতারা, শাসনপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আজকের বর্ধিত সভাকে ঘিরে দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে। ওই এলাকার সকলেই এ বৎসর ইউপি নির্বাচনে নৌকার নতুন মাঝি দেখতে চায়। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে আলাপচারিতায় জানা যায়, বর্তমান সাংসদ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপির আস্থাভাজন নতুন প্রজন্মের যুবলীগের আইকন উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি রাজীব আহমেদ রাজু। ইতোমধ্যেই তিনি এলাকায় সাংসদের সহযোগিতায় বেশকিছু দৃশ্যমান উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এরমধ্যে ইউনিয়নের সকল রাস্তার মোড়ে মোড়ে স্ট্রীট লাইট, রাস্তা ঘাট প্রসস্থকরণ, রাস্তাঘাট সংস্কার, স্কুল ও মাদ্রাসার নতুন ভবন নির্মানে সহযোগিতা করেন। পাশাপাশি তিনি যুব সমাজকে নিয়ে মৎস্যচাষ, গবাদি পশু পালন, অনাবাদি জমিতে চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। করোনাকালীন সময়ে তিনি বিতারা ইউনিয়নে অক্সিজেন সেবা প্রদানের পাশাপাশি লকডাউনের সময় কর্মহীন দিন মজুর ও অসহায় মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাছাড়া তিনি সবসময় গরীব ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ভাবে তাদের সহযোগিতা প্রদান করে আসছেন। এসকল কারনেই তিনি তরুণ-প্রজন্মের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
বিতারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মফিজ প্রধান ও ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি স্বপন জানান, আজ আমাদের ইউনিয়নে বর্ধিত সভা। এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা ও জনসমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন মোঃ রাজীব আহমেদ রাজু। তাকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দিলে ৩নং বিতারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদটি সহজে আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে। তার পক্ষে দলের সকল নেতাকর্মীরা একত্রে হয়ে কাজ করবে এবং জয় লাভ করবে নৌকা প্রতীক এমন আশা করছেন তারা।
ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মিয়া মোঃ নিজাম এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিঞা মোঃ সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, রাজু ভাইয়ের ব্যাক্তিগত ইমেজ, পারিবারিক ইমেজ ও দীর্ঘদিনের দলের নিবেদিত একজন সক্রিয় নেতা হিসেবে বেশ পরিচিতি রয়েছে এলাকাজুড়ে। এছাড়া সমাজসেবক হিসাবে তিনি বেশ পরিচিত। করোনা মহামারীকালীন সময়ে তিনি কর্মহীন পরিবারের মাঝে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য এবং অক্সিজেন সেবার মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তার রক্তশিরায় বহমান বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় সাংসদ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপির জন্য রয়েছে শ্রদ্ধা, অফুরন্ত ভালোবাসা। আওয়ামী যুবলীগের একজন কর্মী হিসেবে দলের জন্য অনেক ত্যাগ ও অবদান রয়েছে রাজু ভাইয়ের। দলের যেকোনো দুঃসময় দল এবং দলের কর্মীদের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন এই নেতা। তিনি নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যামে দলকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেয়ার চেষ্টা করেন। এবার তিনি ৩ নং বিতারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী। বিতারা ইউনিয়নের তৃণমূলের নেতা কর্মী ও সাধারন ভোটাররা তাকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই।
সেই লক্ষ নিয়েই ইতোমধ্যে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন তিনি। প্রায়ই প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভোটাররা রাজনীতির মাঠের পরীক্ষিত তরুন নেতা রাজীব আহমেদ রাজুকে পেয়ে ব্যাপক সাড়া দিচ্ছেন। তিনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। তার নিজস্ব কোন চাওয়া পাওয়া নেই। তিনি রাজনীতিকে মানব সেবা হিসেবে মনে করেন। ভোটারদের কাছে এবার যোগ্য প্রার্থী হিসেবে রাজীব আহমেদ রাজুকে দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কায় মনোনয়ন দেওয়ার দাবী উঠছে সবর্ত্র।
একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজীব আহমেদ রাজু এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্যারের সহযোগিতায় বিতারা ইউনিয়নকে উন্নয়নের রোলমডেল হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। তার পাশাপাশি ইউনিয়নবাসীর পাশে দাড়িয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেবা করে যেতে চাই।