সম্পাদকীয়
সময়ের ব্যবহার এমন হয়েছে যে সময়ে চিন্তা ধারা যে বয়সে দরকার সে বয়স এখন আর আসতে দিতে চায় না। জীবন চলার পথে জীবনকে না বুঝেও মনের টান জীবনের প্রতি অবমূল্যায়ন এক মানসিক খরায় ভুগছে। বর্তমান সময়ের কিশোর বয়সের ছেলেমেয়েরা নীতি-নৈতিকতা এসব চতুর্দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও তারা এসব কে পাত্তাই দিতে চাচ্ছে না। কিশোর বয়সের কিশোরী বয়সের এদের মাঝে নৈতিকার বাস্তবতা নেই। যে মানসিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে জীবনের বিভিন্ন সময় পার করে একটা বাস্তবসম্মত জীবনের অবস্থানে পৌঁছানো যায় এই বিষয়টা নৈতিক যদিও, কিন্তু মনস্তাত্তি¡ক গতিতে এখন আর সেই নৈতিক অবস্থার মূল্যায়ন নেই। ২৮ তারিখ দৈনিক শপথ পত্রিকায় খবর প্রকাশ হয়েছে ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা’ কি অবস্থা কি পরিবেশ পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে অপ্রাপ্ত বয়সে প্রেমের ঘটনা হৃদয় সংক্রান্ত ঘটনার দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশীয় আইন এবং সমাজের বাধা দুইটার একটাও তারা পার করেনি। এই যে মানসিক চিন্তা চেতনার অবক্ষয় সময়ের আগেই জীবনের মানসিক পরিবর্তন এটা কোন ভাবেই রাষ্ট্রীয় আইনে সামাজিক-পারিবারিক গÐির মধ্যে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হয়নি। মেনে নেওয়ার মত পরিবেশ নাই এখন মেনে নিতে পারবে না কিন্তু সন্তান কিভাবে এতদুর পৌঁছালো। ছেলে-মেয়ে উভয়ে ক্ষতির মানসিক পরিস্থিতি পড়েছে। সঠিক বয়স আসার আগেই তারা এই সমস্ত কাজে জড়িয়ে পড়েছে এটা কি পরিবার-পরিজনের খোঁজ রাখা দায়িত্ব ছিলো না। এখানে তো সরকারের হাত নেই। কারণ অকারণেই অনেক কিছু অনেক ঘটনা প্রশাসনের দিকে ছাপিয়ে যায়। কিন্তু আজ এমন ঘটনার জন্ম হয়েছে ঘটনায় পরিবার সমাজ আত্মীয়-স্বজন এদের ছাড়া কেউ এর দায়ভার নেবে না। দায়িত্বহীনতার দায়ে প্রশাসন চাপ দিতে পারে। সন্তানদেরকে জীবনযাপনের জন্য বাধা না দেওয়া এবং খোঁজখবর না রাখা এইদিকে থেকে প্রশাসন এই মুহূর্তে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে। সমাজের সুধী সমাজ মনে করে প্রশাসনকে এই বিষয়ে গুরুত্বের সহিত এগিয়ে আসতে হবে। তবেই এমন পরিস্থিতির আটকানো যেতে পারে।