সাগর আচার্য্য:
মতলব-নায়েরগাঁও আঞ্চলিক সড়কে বৃষ্টির পানি ও খানাখন্দে ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ বেশকিছু গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দেবে গেছে সড়কের কিছু অংশ। ব্যস্ত এই সড়কে ছোট বড় মিলিয়ে প্রতিদিনই চলে কয়েক হাজার যানবাহন। ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় দিনদিন চলাচল কঠিন হয়ে যাচ্ছে এই সড়কে। সৃষ্ট একেকটি গর্ত যেন একেকটি মৃত্যুফাঁদ। গর্তে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বিশেষ করে রাতে চলাচল অনেকটাই অনিরাপদ এখানে। কারণ চালক ও পথচারী অনেকে যানেই না কোথায় গর্ত আছে আর কোথায় নেই।
জানা যায়, মতলব বাইপাস, দগরপুর, নাগদা, ঘিলাতলী ও নায়েরগাঁও রাস্তার একেক পাশে ছোট থেকে বড় প্রায় শতাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও এই সড়কটির কোন কোন স্থান দেবে গিয়ে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। স্থানীয় লোকজন গাছ ও লাল নিশানা টানিয়ে সতর্ক চিহ্ন দিলেও গর্ত এবং দেবে যাওয়া পাশ দিয়েই ছোট-বড় সকল ধরনের যানবাহন চলাচল করছে।
এছাড়াও মতলব-নায়েরগাঁও আঞ্চলিক সড়কে রয়েছে বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ মোড়। বিশেষ করে নারায়ণপুর খান বাড়ি থেকে পাঁচগড়িয়া এবং নায়েরগাঁও শাহাপুর পর্যন্ত রাস্তায় মোড়ের জন্য প্রায়শই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
এদিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মতলব উত্তর বাইপাস সড়কের সুজাতপুর বাজার থেকে বাগানবাড়ির সড়কটিরও বেহাল অবস্থা। এই রাস্তার বেশকিছু স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে মাটি দেখা যাচ্ছে এবং তৈরি হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি গর্ত।
মতলব উত্তর বাইপাস সড়ক ও মতলব-নায়েরগাঁও ব্যস্ততম এই সড়কে প্রতিদিনই বাড়ছে যাত্রী এবং গাড়ীর চাপ। শীতকালীন এই সময়ে কুয়াশাছন্ন সকাল বা রাতে এসব গর্ত এবং মোড় যে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গুরুত্বপূর্ণ এই আঞ্চলিক সড়কটির এমন বেহাল অবস্থা সত্যিই ভয়ানক।
ব্যস্ততম এই সড়কগুলোতে গর্ত এবং দেবে যাওয়া অংশগুলো দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করছেন অত্র এলাকার সচেতন মহল।