শরীফ পাটওয়ারী, মতলব দক্ষিণ :

মতলব দক্ষিণে নামাজের মধ্যখানে জোরে ‘আমিন’ বলা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উপাদী উত্তর ইউনিয়নের মধ্য ডিংগা ভাঙ্গা গ্রামের মদিনা জামে মসজিদে শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত তিনজন। আহতরা হলেন, মুসুল্লী রাব্বি ওরপে সাকিল (১৭), ফাতেমা (২৩) ও শাহাদাত (৩৫) আহত হয়। আহতরা মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদশীরা জানান, নামাজের পূর্বে মসজিদের ক্যাশিয়ার রুহুল আমিন বকাউল ইমামের সাথে আমিন জোড়ে বলতে পারবে না বলে ইমামকে সতর্ক করে দেন। এ বিষয়টি নিয়ে মুসুল্লীদের মাঝে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। ইমামের পক্ষ নিয়ে মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, নামাজ শেষ হলে এই বিষয় নিয়ে দলিল দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। একথা বলায় রুহুল আমিনের লোকজন উত্তেজিত হয় শাহাদাতকে গালমন্দ ও মারধর করে। পরে শাহাদাত দৌড়ে বাড়িতে গেলে উত্তেজিত রুহুল আমিন ও তার লোকজন তার বোন ফাতেমাকে, চাচা শাকিলকেও মারধর করে।
মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে এক পর্যায়ে রুহুল আমিন ও ইমাম আমিন জোড়ে বলাকে নিয়ে তর্ক করছে। আমি শুধু বলেছি নামাজের শেষে এই বিষয় নিয়ে দলিল দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েন। এ কথা বলায় রুস্তম বকাউলের ছেলে জাহাঙ্গীর বকাউল ও কামরুল বকাউল, লোকমান বকাউলের ছেলে কাঊসার ও আলম বকাঊল, কায়ুঊম বকাঊলের ছেলে রাকিব, নূর বকাউলের ছেলে মনির আমাকে মারধর করে।
পরে আমি বাড়ীতে গেলেও আমার ভাতিজা ও বোনকে মারধর করে।
রুহুল আমিন বকাউল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার সাথে ইমামের এ বিষয়ে কথা হচ্ছিল। ওর (শাহাদাত) মাঝখানে কথা বলার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।
ওসি স্বপন কুমার আইচ বলেন, বিষয়টি আমি এখনো জানি না। জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।