সুমন আহমেদ:
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান জুয়েল গত ১৪ ফেব্রুয়ারী এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে স্বাস্থ্য সেবা। এক মাসেই তার প্রচেষ্টায় বদলেছে হাসপাতালের চিত্র। সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিন দিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। রোগী ও স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে আশার আলো। এখন হাসপাতালে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে সুন্দর প্রবেশ দ্বার।
এছাড়াও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে গাইনি কনসালটেন্ট না থাকা সত্তে¡ও স্বাভাবিক প্রসব বৃদ্ধি নিজস্ব অর্থায়নে রাতে আলোকসজ্জা, নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, বহিঃবিভাগে রোগীদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রতিনিয়ত হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে ঘুরে দেখেন বলেও জানা গেছে। রোগীদের সাথে হাসি মুখে কথা বলেন। জানতে চান তাদের সমস্যা। সমাধান করতে ছুটে যান বিভিন্ন চিকিৎসকের চেম্বারে। বিনা খরচে চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করেন তিনি।
কোভিড-১৯ এর মহামারি থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার করা হয়। পাশাপাশি বহিঃবিভাগের রোগীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করছেন তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জনবল কম থাকলেও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান জুয়েল।
সেবা নিতে আসা এক রোগী মোছাঃ আলো বেগম জানান, আগের তুলনায় হাসপাতালটির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। শহিদুল ইসলাম বলেন, ডাঃ আসাদুজ্জামান জুয়েল হাসপাতালটি খুব সুন্দর করে সাজিয়েছেন। প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকলেও তিনি ও অন্যান্য চিকিৎসকরা যে কষ্ট করেন তা প্রশংসনীয়।
এ বিষয়ে হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল জানান, হাসপাতালটিতে সেবার মান বাড়াতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ের সহযোগিতায় বেশ কিছু কাজ ইতোমধ্যে শেষ করেছি। আরো সংস্কারের কাজ অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে।
জানা যায়, চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল হাসপাতালটি পরিদর্শন করে বিভিন্ন সহায়তার জন্য কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এছাড়াও চিকিৎসা সেবার মান বাড়াতে তাঁর সার্বিক সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।