মতলব উত্তর প্রতিনিধি:
মতলব উত্তর উপজেলায় প্রকাশিত সংবাদের জেরে সাংবাদিক সুমন আহমেদকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ও এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন কথিত যুবলীগ নেতা শ্যামল ও মিল্টন। এ ঘটনায় মতলব উত্তর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছেন সাংবাদিক সুমন আহমেদ। গতকাল বুধবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তাকে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। অভিযুক্ত শ্যামল বাহেরচর পাঁচানী গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ও মিল্টন শিকিরচর গ্রামের মন্টুর ছেলে।
হুমকিপ্রাপ্ত সুমন আহমেদ দেশের বেসরকারী টিভি চ্যানেল এশিয়ান টিভি, দৈনিক খোলা কাগজ ও চাঁদপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক শপথ পত্রিকার মতলব উত্তর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সে মতলব উত্তর প্রেসক্লাবের সদস্য। এ ঘটনায় সাংবাদিক সুমন আহমেদ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিষয়টি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকর্মীরা জানার পর তাদের মধ্যেও চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র ও জিডির তথ্যে জানা যায়, সারা দেশের ন্যায় মতলব উত্তরে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে যুবলীগের আয়োজনে প্রতিবাদ সভার সংবাদ সংগ্রহ করার সময় কথিত যুবলীগ নেতা শ্যামল ও মিল্টন দু’জনে মিলে সাংবাদিক সুমন আহমেদকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ও ২৪ ঘন্টার মধ্যে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর প্রেসক্লাবের সভাপতি বোরহান উদ্দিন ডালিম বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তারা নির্ভিক এবং কারো রক্ত চক্ষুকে ভয় পায় না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম চলছে চলবে। হুমকিদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
সাংবাদিক সুমন আহমেদ বলেন, আমি গতকাল জাতীয় শোক দিবসের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি, পাশাপাশি গত সপ্তাহে বর্তমানে ওসি মহোদয়ের বদলী জনিত আরেকটি প্রতিবেদন করেছি। এরই সূত্রে ধরে গতকাল বুধবার বিকেলে ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে শ্যামল ও মিল্টন সংবাদ সংগ্রহকালে আমাকে ডেকে বলে তুই তো আমাদের গ্রæপের নয়! তুই ওই গ্রæপের লোক। তুই এখন থেকে এলাকা ত্যাগ করবি নতুবা প্রাণে মেরে ফেলবো। এই বলে তারা আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সভাস্থল থেকে বের করে দেয়। আমি ভয়ে থানায় এসে জিডি করেছি। আমার জানা মতে তারা খারাপ প্রকৃতির লোক।
যদিও এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শ্যামল ও মিল্টনের মোবাইল ফোন নম্বরে কল দিলেও তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
মতলব উত্তর থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান কামাল জিডির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখন পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।