মতলব উত্তর প্রতিনিধি:
মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা আঞ্চলিক মহাসড়ক লাগোয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রায় কোটি টাকা মূল্যের জায়গা দখল করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। উপজেলার জনতা বাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তিতে একের পর এক অবৈধভাবে দখল করে স্থায়ী বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করছেন স্থানীয় চিহ্নিত প্রভাবশালী দখলবাজরা। ধনাগোদা নদীর তীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সম্পত্তি দখল করে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হলেও নিরব রয়েছেন পাউবোর কর্মকর্তারা। এতে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মাঝে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ মে পাউবো চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদারের নেতৃত্বে অবৈধ স্থাপনা ঘুড়িয়ে দিয়ে পাউবো নিজস্ব জমি বুঝে নেয়। কিন্তু মাস তিনেক যাবৎ থেকে স্থানীয় দখলবাজরা সেখানে পুনরায় তাদের স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পাউবোর রহস্যজনক ভূমিকায় তারা বীরদর্পে এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ইউপি সদস্য অলিউল্ল্যাহ দেওয়ানের নেতৃত্বে একটি চক্র পাউবোর মূল্যবান জমিটি দখলে নিয়েছে। পাউবোর জায়গায় অস্থায়ীভাবে বসবাসকারী একাধিক ব্যক্তির নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা পাউবোর জায়গায় অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। তবে পাউবোর জায়গায় স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের সাহস পাইনি। কিন্তু ইদানিং অলিউল্ল্যাহ দেওয়ান, আঃ রব মিজি, হুমায়ুন মোল্লা সহ আরও কয়েকজন রাতারাতি পাউবোর জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। পাউবো কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নিতে পারছে না।
এমনও অভিযোগ রয়েছে পাউবোর সম্পত্তিতে গড়ে তুলেছেন একাধিক দোকান কোটা প্রতিটি দোকান স্থায়ীভাবে বিক্রি করেছেন ১০-১৫ লাখ টাকা করে। প্রশ্ন থেকে যায়, টাকাগুলো গেল কার প্যাকেটে?
মতলব উত্তর সহকারী কমিশনার (ভূমি) হেদায়েত উল্ল্যাহ জানান, সরকারি জমি দখলের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন জমি। জবর দখলের ব্যাপারে তারা ব্যবস্থা নেবে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, জমি দখলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।