সুমন আহমেদ:
মতলব উত্তরে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ক্রেতাদের ভিড় তত বাড়ছে। করোনার কারণে দুই বছর ঈদে তেমন বেচাকেনা হয়নি, সেই ক্ষতি এবার পুষিয়ে নিতে চান ব্যবসায়ীরা। তাই সাধ্যমতো ছোট-বড়-মাঝারি ব্যবসায় পুঁজি খাটিয়েছেন তারা।
রমজানের শুরু থেকে মার্কেটের দোকানগুলোতে তেমন ক্রেতাদের ভিড় না থাকলেও শেষের দিকে কেনাকাটা জমজমাট হয়ে উঠেছে। প্রতিটি মার্কেটে নতুন নতুন পোশাকে সেজেছে। অপরদিকে দোকানে দোকানে অতিরিক্ত কর্মচারীও রাখা হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন বাজারের কাপর দোকানগুলোতে সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। অন্যদিকে বাহারি কারুকাজ, হাতের নকশা এবং নানা রঙের কাপড়সহ বিভিন্ন নতুন পোশাকে সেজেছে দোকনগুলো। এসেছে নতুন নতুন কালেকশনও। দেশি কাপড়ের পাশাপাশি বিদেশি কাপড়ও বিক্রি হচ্ছে। তবে গরমকে প্রাধান্য দিতে আনা হয়েছে নতুন নতুন ডিজাইন। আর বেশিরভাগ পোশাকই রাখা হয়েছে সুতি কাপড়। ছেলে-মেয়ে ও শিশুসহ সকলের জন্যই রয়েছে সব ধরনের পোশাক। তবে সব ধরনের পোশাকের দাম কিছুটা বেশি বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।
ছেংগারচর বাজারের সেতু গার্মেন্টসের স্বত্ত¡াধিকার মো. আলাউদ্দিন বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও ক্রেতাদের কথা বিবেচনায় রেখে ঈদে বাহারি ও নান্দনিক ডিজাইনের পোশাক এনেছি। বিশেষ করে ছেলেদের পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, ইজি কেয়ার শার্ট, জিন্স প্যান্ট এবং মেয়েদের থ্রি পিস, টু-পিস, কাজ করা জর্জেট কামিজ কালেকশন রয়েছে।
সুজাতপুর বাজারের গার্মেন্টস ব্যাবসায়ী ওসমান সরকার বলেন, এবার ছেলেদের জিন্স, টিশার্ট এবং গেঞ্জিতে নতুনত্ব এসেছে। দামটা সব শ্রেণির ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে স্বল্প লাভে বিক্রি করছি। ক্রেতাদের বেশ সাড়া পাচ্ছি। এখন ক্রেতাদের ভিড় পর্যাপ্ত।
রাজিয়া আক্তার নামে এক নারী ক্রেতা বলেন, অনেক ঘুরে ঘুরে কিছু পোশাক কিনলাম। ঈদ উপলক্ষে দাম একটু বেশি, তবে পোশাকের মান ভালো।
সুবর্না আক্তার নামে অন্য এক ক্রেতা বলেন, অন্য বছরের তুলনায় ডিজাইনেও বৈচিত্র্য আছে। তবে এবার সুতি কাপুড়ের ডিজাইন করা থ্রি-পিস বেশ পাওয়া যাচ্ছে।
ময়না আক্তার নামে এক গৃহবধূ বলেন, বাচ্চাদের নিয়ে কেনাকাটা করতে মার্কেটে এসেছি। এ বছর কাপড়ের দামটা একটু বেশি বলে মনে হচ্ছে। তবুও বাচ্চাদের পছন্দের পোশাক কিনেছি।
এদিকে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এবার ঈদের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। তাই ঈদে বেচা-কেনা বেশ ভাল হবে। দুই বছরের লোকশান কিছুটা পুষিয়ে নিতে পাবে বলে তারা মনে করছেন।