সুমন আহমেদ:
মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ছোট মরাধন গ্রামে কবরের উপর মসজিদ ও মসজিদের বাথরুম নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর পূর্বে ছোট মরাদন গ্রামের মৃত আবুল হোসেন ও তার ভাই মুকবুল হোসেন ৬ শতাংশ জমি মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দেয়। কিন্তু ঐ ৬ শতাংশ জমির পাশে তাদের নিজস্ব পরিবারের কবরস্থান থাকায় ওই খালি রাখার কথা ছিল। কিন্তু সর্বশেষ মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করা হলে মসজিদ কমিটি ওয়াদার ভঙ্গ করে তারা ওই জায়গায় মসজিদ ও মসজিদের কাজে ব্যবহৃত বাথরুম নির্মাণের কাজ করে। উক্ত স্থানে বর্তমানে মসজিদের দ্বিতীয় তলার সিড়ি, হুজুরের থাকার রুম ও বাথরুমের নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, যেখানে ইমামের কক্ষ তৈরি করা হয়েছে তার নিচে বাথরুমের হাউজ করা হয়েছে, সেখানে ৭টি কবর ছিল। যখন কাজ করতে মাটি তোলা হচ্ছিল তখন এখানে মানব দেহের অনেক হাড় পাওয়া গেছে। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রহম আলী বেপারী বলেন, খাতেমা ও তার দাদীসহ ৭ জনের কবর ছিল এখানে। শ্রমিকরা যখন মাটি খননের কাজ করছিল তখন কবর থেকে সেই মরদেহের কংকাল পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জমি ওয়াকফ দাতার ছেলে ইংলেন্ড প্রবাসী মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, আমার বাবা ও জেঠা মসজিদের নামে জমি দেয়। মসজিদ ঘরটি ছোট ও টিনের ঘর ছিল। কিন্তু যখন শুনতে পেলাম মসজিদ দালান ও বড় করা হবে তখন মসজিদ কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যদের কবরের বিষয়টি অবহিত করেছিলাম। কবরের জায়গাটুকু খালি রেখে কাজ করবে বলে তারা আমাকে কথা দিয়েছে। কিন্তু তারা ওয়াদা ভঙ্গ করে সেই জায়গাতে বাথরুমের ট্যাংকি নির্মাণ করেছে। যা ধর্মীয় বিধানমতে নিকৃষ্টতম কাজ। আমি প্রবাস থেকে দেশে এসে দেখি এ অবস্থা। আমি এ জগন্যতম কাজের প্রতিকার চাই।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি বজলুর রহমান (হক) সাহেবকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। তবে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ বলেন, ওয়াকফ জায়গাতেই মসজিদের নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে কবর ছিল কিনা আমাদের জানা নেই।