সুমন আহমেদ:
মতলব উত্তরে হঠাৎ আকাশ ছুঁয়েছে লেবুর দাম। পাইকারি মোকামে হালি ৬০ টাকা হলেও খুচরা বাজারে তা শ’ ছুঁয়েছে। উপজেলার ছেঙ্গারচর, নতুন বাজার, কালিপুর, কালির বাজার, মোহনপুর কাঁচাবাজার সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। আড়তদাররা বলছেন, লেবুর ফলন স্মরণকালের সর্বনিম্ন হওয়ায় এবার সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড ছুঁয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ছেংগারচর তরকারি ব্যবসায়ী বাবু মিয়া বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই লেবুর বাজার চড়া। তবে আজকের বাজারে দামটা একশ’ ছুঁয়েছে। এবার লেবুর ফলন খুব কম হয়েছে। সরবরাহও কম। তাই দাম চড়া। এখানে বিক্রেতাদের কিছু করার নেই। চাহিদা আর সরবরাহের কথা বিবেচনায় দামের এই চড়া ভাব আরও বেশ কিছুদিন থাকবে।
একই প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী মুক্তার মিয়া বলেন, শীতের শেষদিকে লেবুর বাজার একটু চড়াই থাকে। এছাড়া রমজান মাস, তাই লেবুর দাম বেড়েছে। তবে এবার অন্যান্যবারের চেয়ে বেশি। ফলন কম হওয়ায় দামে এমন অস্থিরতা বিরাজ করছে।
সরেজমিন নতুন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দেশি লেবু প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। এক ডজন কিনলে ২৫০ টাকা রাখা হলেও হালি বিক্রি হচ্ছে ঠিক ১০০ টাকায়। তবে কাগজি লেবু তুলনামূলক কিছুটা কম। এর হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আলাউদ্দিন নামে এক বিক্রেতা বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে হালি ৭০-৮০ টাকায় আনি। অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে তাই ১০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়। দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রিও কমেছে সমান হারে। জুয়েল নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, আগে প্রতিদিন ১০০ লেবু আনতাম। একটাও থাকত না। আর এখন মাত্র এক ডজন লেবু আনি। তবু দিন শেষে দুই-তিনটি অবিক্রীত থেকে যায়।
অভিন্ন চিত্র পাওয়া গেছে সুজাতপুর ও নন্দলাল পুর বাজারেও। এ দুটি বাজারে দোকানভেদে দেশি লেবু বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। তবে কাগজি লেবু বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। লেবুর এই আকাশছোঁয়া দামে বিস্মিত এখানকার দোকানদাররাও। রোমান নামে এক বিক্রেতা বলেন, আমি প্রায় ২০ বছর ধরে ব্যবসা করছি। আর অধিকাংশ সময়ই লেবুর ব্যবসা করেছি। তবে এত দাম আগে কখনও দেখিনি।