মো. কবির মজুমদার:
মতলব দক্ষিণ উপজেলার ১২নং দক্ষিণ নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভুয়া জমিদাতা সাজিয়ে ম্যানেজিং কমিটিতে সদস্য করার পাঁয়তারা করছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজমা আক্তার। ভুয়া দাতা জেনেও অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তাকে দাতা সদস্য মনোনয়ন দিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিকার পাওয়ার জন্য ১২নং দক্ষিণ নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দাতা সদস্য মো. মোবারক হোসেন হাওলাদার চলতি বছরের গত ২৮ফেব্রুয়ারী মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাসের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করার পরও কার্যত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ওই ঘটনা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে অভিযোগকারী ওই বিদ্যালয়ের স্থায়ী দাতা সদস্য মো. মোবারক হোসেন হাওলাদার বলেন, আমি বিদ্যালয়ের ভূমি দাতাদের মধ্যে একজন। প্রকৃত ভূমি দাতাদের বাদ দিয়ে ভূয়া দাতা সাজিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়ম বহিঃর্ভুত অবৈধ ভাবে গঠিত কমিটি করে অনুমোদনের চেষ্টা করছে। আমরা সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক প্রধান শিক্ষক ও অনিয়মের সাথে জড়িতদের আইনগত ব্যবস্থা করা সহ সঠিক ভূমি দাতাকে অন্তর্ভূক্ত করার অনুরোধ করছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১২নং দক্ষিণ নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজমা আক্তার বলেন, এটা আমি কিছু জানি না, এটা আমার কিছু করার নাই। আমি কোনটাই করি নাই। আমাকে দিয়ে শুধু লিখিত লেখাইছে। যা করেছে স্থানীয় রানিং চেয়ারম্যানে ইকবাল হোসেন। আপনারা চেয়ারম্যানের সাথে কথা কন। মো. সালাউদ্দিন হাওলাদার ভুয়া দাতা সদস্য কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষিকা নাজমা আক্তার বলেন, ভুয়া যদি হয়ে থাকে এটা চেয়ারম্যান জানে, আমি জানি না। আমি এখানে চাকুরী করি এটুকু। আমার কিছু করার নাই। ইবকাল চেয়ারম্যান তাদের বাড়ির লোক হিসেবে মো. সালাউদ্দিনকে হাওলাদারকে দাতা সদস্য হিসেবে রাখছে। এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাজমুন নাহার বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বুধবার আমাদের মিটিং রয়েছে। মিটিংয়ে আলোচনা করে যে সকল বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে সেগুলো এডহক কমিটি গঠন করা হবে। যে সকল বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই সে গুলো অনুমোদন করা হবে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ৩নং খাদেরগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিক কল করেও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি।