মতলব দক্ষিণ প্রতিনিধি:
মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেইট সংলগ্ন শাহজালাল ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে রোগীর সাথে অশোভন আচরণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ ওঠেছে। এছাড়ারও তার ক্লিনিকের দালালদের সরকারি হাসপাতাল চত্বর ও হাসপাতালের ভিতরে ঘুরাঘুরি এবং রোগীদের সাথে দেখা গেছে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মতলব পৌরসভার দগরপুর গ্রামের ইউসুফ নামের রোগীর সাথে প্যাথলজির পরীক্ষা-নিরিক্ষার অতিরিক্ত ফি নিয়ে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোঃ শাহজালাল সরকার। এসময় মতলব পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শাহ গিয়াস ও সাবেক মেম্বার মজিবুর রহমান মন্টুসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে বিষয়টি পরে শালিসী বৈঠক করে সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
এদিকে গত ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারি হাসপাতালের চত্বর এবং হাসপাতালের ভিতরে ক্লিনিকের কিছু সংখ্যক ব্যক্তি রোগীদেরকে ডাক্তার দেখিয়ে প্রেসক্রিপশনে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা লিখিয়ে নিচ্ছে। এতে করে সাধারণ রোগীরা প্রতারিত হচ্ছে। এছাড়াও পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। এ বিষয়ে প্রশাসনের জরুরী ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
সরেজমিনে আরো দেখা যায়, শাহজালাল (রহঃ) ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একটি এ্যাম্বুলেন্স সরকারি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে রেখে ব্যবসা পরিচালনা করছে। সাধারণ রোগীরা সরকারি এ্যাম্বুলেন্স চাইলে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে রোগীর পরিবহন, রোগী ছাড়া যাত্রী পরিবহন এবং শাহজালালের বিরুদ্ধে অ্যাম্বুলেন্সে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার এবং রোগী ও স্বজনদের সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগ রয়েছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তার কাছে উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটা নিত্যদিনের ঘটনা। কাউকে কিছু বলার নেই।
চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগী জানায়, আমরা উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসি। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালদের খপ্পরে পড়ে আমাদের যাতায়াতের ভাড়া থাকে না। প্রশাসনের ব্যবস্থা নিলে আমরা উপকৃত হবো।
এ ব্যাপারে শাহজালাল (রহঃ) ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ শাহজালাল মিয়া জানান, বৃষ্টির কারণে হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। আমার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল ছাড়াও প্রত্যেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল থাকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম কায়সার হিমেল এ ব্যাপারে ফোন করে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।