আবু ইউসুফ
আত্ম অহমিকা বোধ সম্পন্ন ব্যাক্তিরা কখনো নিজকে মহান বলে আত্মপ্রচারের ফল অন্যের জন্যে মঙ্গল হতে পারে কি? সকল নৈতিকতার সর্বশেষ সর্বকালব্যাপী সর্বাধুনিক নৈতিকবোধ সম্পন্ন ধর্ম ইসলাম। হযরত আদম (আঃ) থেকে হযরত ঈসা (আঃ) পর্যন্ত সকলেই নবী সল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে আগাম বার্তা দিয়েছেন সৃষ্টির চুড়ান্ত মুক্তির জন্য। নবী সল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলেন রহমতপূর্ণ বরকতময় কর্ম দ্বারা মাহশারের পর অনন্তকাল কালের জন্য শ্রেষ্ঠ সম্মানীয় বরণীয় হয়ে আছেন থাকবেন। ফখর করেনননি কখনো, সর্বোচ্ছ নিদারুণ নিষ্ঠুর ব্যবহারকারিকেও ক্ষমা করে দিলেন। স্ব-জাহির করতে হয়নি আর এটা শোভনীয় ও নয়। শ্রেষ্ঠ সাহাবী ছিলেন হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাঃ প্রাপ্ত বেতনের টাকায় সংসার চালিয়ে বেঁচে যাওয়া বেতনের টাকা, আগামী মাসগুলোতে কমিয়ে নিতেন। কিন্তু আত্মলোভী ছিলেন না। ইসলামের প্রকাশ্যে আজান দেয়ার সাথে স্মৃতি জড়িত সেই সাহাবী হজরত ওমর ফারুক (রাঃ) অর্ধজাহানের শাসান করেছেন ধূলার সিংহাসনে আর নামে মাত্র পোশাক পরিধানে ভৃত্যের সাথে মানবিক ব্যবহারের দৃষ্টান্তে বিজয় করে নিয়েছেন জেরুজালেম শহর। তার মাঝেও আত্মকথনের পখর ছিলো না। দয়াময় হৃদয়ের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র জিননূরাইন হজরত ওসমান গনি (রাঃ) যিনি মেহামান ছাড়া খাবার খেতেন না। এমনি বেশির ভাগ সময় মৃত্যুর ভয়ে ক্রন্দনরত থাকতেন। তিনি অনেক সম্পদের মালিক স্বত্বেও আত্মকথনে লিপ্ত ছিলেন না। আসাদিল্লাহিল গালিব কাবার হাতিমে যার জন্ম শেরে খোদা যার লকব “আনা মাদিনাতুল এল্ম ও আলীউন বাবুহা” এলমের শহরের দরজা চারফিরিস্তি এলমের শহরের দরজা। আত্মকথনের ফুলঝুরি ফোটা বেহেশতের দিকে নজর যাদের এমনকি নিজদেরকে মেনে না নেওয়ায় যারা অপমান বোধ করে হীনমন্যতার পরিচয় দেয় আগ্রাসী থাবা মারার চেষ্টা চালায় এমনকি বেহেশতের নিশ্চিত আত্মলোচনায় মত্ত্ব সেই বেহেশতের সর্দারদের পিতা হযরত আলী (রাঃ) কখনো আত্ম মহা জ্ঞানীর পরিচয় দিয়েছেন কি? আমিরে মুয়াবিয়া বিশেষ সাহাবী রাঃ এর বিপথগামী মহাপাপাত্মা সন্তান এজিদের জিঞ্জারে আটকে ছিলেন হয়তোবা কোন ভুল পদক্ষেপে জীবন তছনছের পাতায় উঠে গেলো। আর কি এমন আত্ম জাহির আমার আহ! আফসোস এর জন্য নিরীহ নির্ভিক মনের মানুষের সাথে শত্রুতা করি আহ্! আল্লাহ যাকে মা বলে সম্বোধন করলেন জান্নাতের মহিলাদের সর্দারিনী ঘোষণা দিলেন বাবার উম্মতের জন্য নিজ সন্তানের কোরবানি গ্রহণ করে নিশ্চিত বেহেশতের কর্নাধরিনি হলেন কখনো তো আত্ম কথনের জোয়ার তুলেন নি। আফসোস হযরত ইমাম হাসান ইবনে আলী (রাঃ) স্ত্রীর কয়েকবার বিষ প্রয়োগের ঘটনায় শেষ নিঃশ্বাসের আগে কষ্ট ভুলে ক্ষমা করে অপূর্ব ক্ষমা সুন্দরের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কই তিনিও তো বেহেশতে সর্দার জেনেও আত্মকথনের অহমিকা কখনো করেননি। আর কোথায় আমি আপনি আমরা ধিক এই তুচ্ছ রাহু ক্ষমতা! এরপর বিরল ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ আত্মবলিদানকারী হযরত ইমাম হুসাইন রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু সত্তর সদস্য ইমানপূর্ণ ইসলামের সর্দার আর ইমান বিধ্বংসী তথাকথিত এজিদি ইসলাম শ্রেষ্ঠ কলঙ্কের দায়ের বিপরীতে হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) বেহেশতের যুবক যুগল সর্দারের সত্যতা নিশ্চিত যেনেও আত্ম কথনের একটি প্রভাবমূলক বাক্য ইতিহাসে আছে বলে আমার জানা নেই। অথচ আমি আমাকে আমার আমাদের শব্দের আত্মকথনে এমনকি অন্যের না মানাতেও ক্ষোভের সঞ্চার বিনিময়ে একসময়ের দূর্গম পথের রক্তাক্ত শহীদের পক্ষে জোরালো কলম ও শব্দ সৈনিকের ভূমিকা পালনকারীকে অপদস্তের পথে হাঁটছি। এটা সত্যের সত্যবাদীর সত্যপথ থেকে বিচ্যুতির দৃষ্টান্ত নয় কি? কালে কালে এমন কি মহাকালেও এর ভয়ানকভাবে ভুলের স্বাদ নিতেই হবে তেমন আচরণকারীদের সে যদি আমিও হই।