এইচ.এম নিজাম:
মহান শহীদ দিবস ও আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ২১ ফেব্রæয়ারি সোমবার বেলা ১১টায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক এমআর ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, জেলা আ.লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন, সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার, বিশিষ্ট ছড়াকার ডা. পিযুষ কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পার হয়ে যাচ্ছে। এই দীর্ঘ সময়ে বাংলা ভাষায় কতটুকু এগিয়েছি তা আমাদের ভেবে দেখতে হবে। তবে আমাদের অনেক প্রাপ্তি রয়েছে। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি।
জেলা প্রশাসক বলেন, পরিকল্পনা করে আমাদের ঘটতি পূরণ করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় সকল স্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন করতে পারছি না। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো বাংলা ভাষায় চর্চা করা হয় না। এছাড়াও অনেক স্কুল রয়েছে যেখানে আমাদের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে শিশুদের জানানো হয় না। এগুলোর দিকে আমাদের নজর রাখা উচিত এবং বাংলা ভাষাসহ দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য বিকৃতকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমাদের শিশুদেরকে বিনোদনের মাধ্যমে বাংলায় চর্চায় অভ্যস্ত করা যেতে পারে। আমাদের দেশে শিশুদের বাংলায় বিনোদনের তেমন ব্যবস্থা নেই। ‘মীনা’ কার্টুনের মত আরো সুস্থ বিনোদন আমাদের শিশুদের দিতে হবে। আমাদেরকে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরী করে দিতে হবে। বাঙ্গালী সংস্কৃতি খুব সুস্থ্য ও সবল সংস্কৃতি। সম্মিলিতভাবে আমরা সুষ্ঠ ও সুন্দর সমাজ বিনির্মান করতে পারবো।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদ স্মরণে ১মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহযোগিতায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় এবং প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।