মোঃ রাছেল,কচুয়া(চাঁদপুর)প্রতিনিধি:
বাঁশ আর বেতকেই জীবিকার প্রধান বাহক হিসাবে আঁকড়ে রেখেছে কচুয়া উপজেলার বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ। এই বাঁশ আর বেতই বর্তমানে তাদের জীবিকার প্রধান বাহক। কিন্তু দিন দিন বাঁশ আর বেতের তৈরি বিভিন্ন পন্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় ভালো নেই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগররা। বর্তমানে করোনা ভাইরাসে সংক্রমন ও লকডাউনের কারনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসব বাশঁ শিল্প আনা সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে নিপুন কারিগররা কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
তবে কালের আর্বতনের সাথে সাথে বাঁশ শিল্প এখন খুব কমই চোখে পড়ে। একদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমন ও অপরদিকে অপ্রতুল ব্যবহার আর বাঁশের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাঁশ শিল্প আজ হুমকির মুখে। বর্তমানে কচুয়া উপজেলার ১৫টি স্থানে এসব বাঁশ শিল্পের দোকান রয়েছে।
পালাখাল বাজারের ওবায়েদুল সিলিং হাউজের পরিচালক ওবায়েদুল হোসেন ও অন্যান্য কারিগররা জানান, এই বাঁশ শিল্প দিয়ে জাবার, খাঞ্চি, টুকরি, হলপা, কুলা, ঢুলা, ছাইদানী, মাছ ধরার ছাই ও আন্তা, ঘরের সিলিং, ছালুন, চেয়ার সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র বানানো হয়। বাঁশ-বেতের এসব জিনিসপত্র একদিকে যেমন পরিবেশ বান্ধব অপরদিকে কম মূল্যেরও। বর্তমানে বাঁশ শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে। করোনা ভাইরাসের কারনে তাদের দুর্বিসহ জীবন কাটাতে হচ্ছে। দুর্বিসহ জীবন-যাপনকারী এ কারিগররা করোনা ভাইরাসের কারনে এক দিকে যেমন পন্য আমদানি করতে পারছে না অপর দিকে সামগ্রিক ভাবে কোনো অর্ডার পাচ্ছে না তারা।
তারা জানান, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এসব বাশঁ শিল্প উজ্জীবিত করা সম্ভব হবে।