রহমান রুবেল
চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেডকে আরো দৃষ্টিনন্দন এবং পর্যটকবান্ধব করার জন্য পর্যটন কর্পোরেশন কোন ভূমিকা রাখতে পারে কিনা সে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ হান্নান মিয়া মোলহেড পরিদর্শন করেন। গতকাল শনিবার ১২ জুন বেলা সাড়ে ১১টায় মোলহেড আরো দৃষ্টিনন্দন এবং পর্যটকবান্ধব করার লক্ষ্যে পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনা খান মজলিশ।
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হান্নান মিয়া বলেন, এই স্থানটিকে আরো বেশি পর্যটনবান্ধব করতে চাই। কারণ কিন্তু পর্যটন কর্পোরেশন এখানে আসতে পারছে না। কারণ এখানে জমির মালিকানা নিয়ে একটি প্রশ্ন রয়েছে। এখানে পর্যটন ব্যবস্থপনা হবে কি না সে বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করবো। তাই আজকে আমি সরেজমিনে স্থানটি পরিদর্শন করতে এসেছি। আমি সরেজমিনে এসে দেখলাম, এটি পর্যটনের জন্য আকর্ষণীয় ও আদর্শ স্থান।
তিনি আরো বলেন, সরকার যা কিছু করে তা জনগণের কল্যাণে করে থাকে। রেল জনগণের জন্য এবং বিনোদন ও জনগণের জন্য। এখানে এসে জানতে পারলাম যে এই জায়গাটিতে রেলওয়ের আধুনিক স্টেশসনসহ বড় স্থাপনা করা হবে। কিন্তু এখানকার বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, এখানে বড় ধরনের স্থাপনা করা যাবে না। কারণ এই স্থানটি ঝুঁকিপূর্ণ।
পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বলেন, এখানে শহররক্ষা বাঁধ রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এটি স্বীকার করেছেন। তাই আমি মনেকরি রেলস্টেশন রেলের জায়গায় থাকুক, আর এই স্থানটিতে আমরা পর্যটন বান্ধব হিসেবে গড়ে তুলব। এজন্য আমি জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব দিচ্ছি। তিনি সকল দপ্তরের সাথে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। আমি বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, এই স্থানটি নিয়ে আমাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে বর্তমানে এই মোলহেডটি চাঁদপুরবাসীর অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র। চাঁদপুর ছাড়াও দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসু মানুষ এসে এই স্থানটির সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, তাই আমরা চাই এই স্থানটির সৌন্দর্য আরো দৃষ্টিনন্দন হোক, পর্যটন নির্ভর হোক। তাই আমরা বসে সমঝোতার মাধ্যমে এই স্থানটির পর্যটন বান্ধব গড়ে তুলবো।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. দাউদ হায়দার, বাংলাদেশ রেলওয়ে ডিইএন মো. আব্দুল হানিফ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস, স্থানীয় কাউন্সিলর মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।