মোঃ মজিবুর রহমান রনি
বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়ে চার বছর প্রেম করার পর শেষ মুহূর্তে এসে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় প্রেমিক। পরে এ নিয়ে থানার দ্বারস্থ হন প্রেমিকা। সবশেষে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। গত রোববার (১৩ জুন) দিবাগত রাতে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮নং পূর্ব হাটিলা ইউনিয়নের হারিয়াইন গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এ ঘটনার প্রেমিক হারিয়াইন গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে নোমান (২৪) এবং তার প্রেমিকা একই গ্রামের মোঃ মোস্তফার মেয়ে মোসাঃ নাসরিন আক্তার (১৯)।
স্থানীয়রা জানায়, তাদের মধ্যে গত চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে একথা এলাকায় জানাজানি হলে এলাকায় সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে রাতেই তাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়।
নোমানের স্ত্রী নাসরিন আক্তার বলেন, নোমান আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত চার বছর আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে আসে। পরে গত ১২ জুন আমি তাকে বিয়ের কথা জানালে সে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে। পরে আমি হাজীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থানায় নোমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করি।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে রাতেই আমাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সালিশদের একজন জানান, থানায় অভিযোগ হওয়ার পরই বিষয়টি আমরা জানতে পারি। পুলিশ তদন্তে আসার আগেই আমরা সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে দেই। এখন আপোষনামার মাধ্যমে থানায় দায়েরকৃত অভিযোগটি উঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল বলেন, তাদের বিয়ের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি হলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তারা আপোষনামা থানায় জমা দিলেই অভিযোগটি নিষ্পত্তি করা হবে।