সম্পাদকীয়
পৃথিবী অপরাধের জায়গা নয় শুধু। ভালো মন্দ দুটি পথই উন্মুক্ত রয়েছে। বিবেক বিবেচনার মাধ্যমে যার যার পথ যে যে বেছে নিচ্ছে। এ পথ জীবন ব্যবস্থার প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে বিরাজমান ভালো-মন্দ সুখ-দুঃখ আনন্দ বেদনা যাই বলি না কেন প্রতি প্রত্যেকটা আচরণ দৃশ্যত বিবেকের ধারায় পরিচালিত হয়। বিশেষ করে মানুষ্য জীবনের মধ্যে মানুষের জীবন ব্যবস্থায় মানুষ সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করার ক্ষেত্রে একে অপরের সাথে বিভিন্ন প্রকারের দৈনন্দিন কাজকর্মের ক্ষেত্রে বাদানুবাদ হয়েই থাকে। এই বাধানোবাদের বহুমুখী ঘটনায় মানুষকে সমাধানের জন্য পারিবারিক সামাজিক নিয়ম নীতির বেরি পার হয়ে রাষ্ট্রীয় আইন আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়। যে কোন ঘটনায় পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে সমাধান না হলে তা সমাধানের জন্য রাষ্ট্রীয় আইন কানুনের অধীন মানুষকে পৌঁছাতে হয়। এখন সমাধানের জন্য আইনের দরজায় পৌঁছলেও মানুষকে বিপাকে পড়তে হয়। বর্তমান মানুষ্য মানসিকতার মধ্যে রয়েছে এক ধরনের হীনমন্যতার বৃহৎ ছাপ। ৩০ আগস্ট দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে হাইমচরে মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি। অপরাধীর অপরাধ করার প্রবণতা প্রতিনিয়ত নির্দিষ্ট সীমা পার হয়ে যাচ্ছে। অপরাধের প্রবণতা মানসিক বিকারগ্রস্থতার দৃশ্য এটি এমন পরিবেশ পরিস্থিতি শুধু এখানেই নয় অহরহ তথা সমগ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিরাজমান। এছাড়াও পৃথিবীর প্রতি মানুষ্য বসতিতে এমন পরিস্থিতি বিরাজমান। মানুষ এখন আইন-কানুনের ধার ধারে না। স্বার্থসিদ্ধি হাসিলের জন্য যার যখন যা ইচ্ছে তাই করছে। ক্ষতি তো করেই ফেলেছে সেই ক্ষতির সমাধানের জন্য বিচার চাওয়া এখন মানুষের সমাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার যেমন ইচ্ছে বিভিন্ন শক্তি খাটিয়ে সময় পার করে চলছে। বহুমুখী অপরাধমূলক শক্তির বহিঃপ্রকাশ বর্তমান সমাজে বিরাজমান রয়েছে। কোথাও পেশি শক্তি কোথাও পারিবারিক শক্তি কোথাও দলীয় শক্তি বিভিন্ন প্রকারের অযাচিত হীনমন্যতার বহিঃপ্রকাশ প্রতিনিয়ত সামাজিক জীবনে বিরাজমান রয়ে গেছে। মানুষের প্রতি মানুষের সম্মান বোধ মমত্ববোধ স্নেহবোধ এগুলো যেন এখন কাটায় পরিণত হয়েছে। অধিকারের ক্ষেত্রে পারিবারিক অধিকার সামাজিক অধিকার রাষ্ট্রীয় অধিকার নামে রয়েছে বাস্তবতা এখন বড় কঠিন। তা না হলে অপরাধী অপরাধ করেছে বা তাকে অপরাধী বানানো হয়েছে মিথ্যে সাক্ষীর মাধ্যমে তো হতে পারে যার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এমনও তো হতে পারে তথ্য প্রমান সঠিকভাবে আদালতে পেশ করতে পারলে তিনি নিরাপরাধ হয়ে ফিরে আসতে পারেন। কিন্তু তা না করে বাদীকে হুমকি দিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য এ কেমন জীবন ব্যবস্থা। এ কেমন সামাজিক ব্যবস্থা এ কেমন রাষ্ট্রীয় আইন-কানুনের প্রয়োগ। রাষ্ট্রীয় আইন কানুনের থেকে শুরু করে জীবন ব্যবস্থার প্রতি সম্মান যারা দেখাতে জানে না তাদের অবশ্যই গুরুতর অপরাধী হিসেবে রাষ্ট্রীয় আইনের বাস্তবায়ন করে দৃষ্টান্তমূলক পরিস্থিতি তৈরি করা গেলে মানুষের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে সচেতন মহলের বিশ্বাস। মানুষ মানুষকে ভালবাসবে আবার মানুষ মানুষের মাঝে বিভিন্ন দৈনতার কারণে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে সেটা মননশীল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সামাজিকতার মাধ্যমে না হোক আইনের মাধ্যমে সমাধানে যাওয়ার মানসিকতা মানুষ্য সমাজের মানসিকতায় প্রতিষ্ঠা করার সময়ের দাবি মাত্র।