নজরুল ইসলাম আতিক:
চাঁদপুরে বিচারপতি পরিচয়ে প্রটোকল চেয়ে পুলিশের কব্জায় বিপ্লব প্রামাণিক নামে এক ভুয়া বিচারপতি। তার বিরুদ্ধে পূর্বের দুইটি মামলায় সাজা ওয়ারেন্টসহ একটি সি, ওয়ারেন্ট পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ।
পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার কুমিল্লা পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে চাঁদপুর পুলিশ কন্ট্রোল রুমে অবগত করা হয়, ঢাকা থেকে বিপ্লব প্রমাণিক নামে একজন বিচারপতি কুমিল্লা দাউদকান্দি হয়ে চাঁদপুরে আসছেন। বিষয়টি চাঁদপুর কন্ট্রোল ডিআইও-১ কে জানালে তিনি কথিত বিচারপতির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে প্রটোকলের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পরে চাঁদপুরের ডিআইও-১ দ্রæত বিষয়টি পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম-বার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়কে অবগত করেন এবং মতলব দক্ষিণ ও উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জকে জানান।
এসময় বিষয়টি জানতে পেরে সফরসূচী ব্যাতিত চাঁদপুর জেলায় বিচারপতির আগমনে পুলিশ সুপারের সন্দেহজনক মনে হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়কে এই ব্যাপারে খোঁজ নিতে বলেন তিনি।
প্রাথমিকভাবে মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার এসআই মোঃ রুহুল আমিন সকাল সাড়ে ১১টায় বারঠিলায় এলাকায় পুলিশ লাইন্স প্রটোকল গাড়ি যোগে ভুয়া বিচারপতি পরিচয়দানকারী ব্যক্তির গাড়ি বারঠিলা ব্রিজের উপর আসলে গাড়িতে কোন ধরণের পতাকা ও বডিগার্ড না থাকায় তার মনে সন্দেহ জাগে। তিনি এর কারণ জানতে চাইলে, ওই ভুয়া বিচারপতি পরিচয়দানকারী বিপ্লব প্রমাণিক জানান, ব্যস্ততার কারণে সরকারি গাড়ি ও বডিগার্ড আনেনি এবং তার ভিজিটিং কার্ড নিয়ে বিষয়টি অতি দ্রæত উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে অবগত করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় কর্তব্যরত এসআই মোঃ রুহুল আমিনকে কথিত ভুয়া বিচারপতি পরিচয়দানকারীর নিজ বাড়ি উত্তর দিঘলদী গ্রামে তাহার সম্পর্কে খোজখবর নেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। পরে এসআই মোঃ রুহুল আমিন এলাকাবাসীর নিকট জানতে পারেন তিনি ঢাকা রায়েরবাগ এলাকার একটি ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন। তিনি কোন বিচারপতি নয়। এসময় আরো জানা যায় ভুয়া ওই বিচারপতি পরিচয়দানকারী বিপ্লব প্রমাণিকের আসল নাম মোঃ আরিফ হোসেন বিপ্লব (৪৫)। তিনি উপজেলার দিঘলদী গ্রামের মৃত মাহবুব প্রধানের ছেলে এবং এলাকায় তাহার প্রভাব বিস্তারের জন্য এই কাজটি করেন। তার বিরুদ্ধে পূর্বের দুইটি মামলায় সাজা ওয়ারেন্টসহ একটি সি, ওয়ারেন্ট পাওয়া যায়।
পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বলেন, আসামির বিরুদ্ধে, মতলব দক্ষিণ থানার মামলা নং-১৬, তাং- ২০/০৫/২০২২ইং, ধারা-১৭০ পেনাল কোড, মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।