ফাইল ছবি:
সাগর আচার্য্য:
চাঁদপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী বাবুরহাট বাজারে অভিনব কায়দায় টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে অহরহ। তবে ঘটনা ঘটলেও নেই কোন প্রতিকার। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও সেগুলো অকেজো হয়ে আছে।
বাজারে এসে বেশিরভাগ ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছেন নারীরা। বাবুরহাট বাজারে অবস্থিত ব্যাংকের টাকা তোলা মহিলারাই ছিনতাইকারীদের টার্গেট হচ্ছেন বেশি। বিভিন্ন কৌশলে মহিলাদের ভুলিয়ে তাদের সাথে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে উধাও হয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। এসব ঘটনা বারবারই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বাবুরহাট বাজারে।
ছিনতাইকারীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও অকেজো হয়ে থাকায় সেগুলো কোন কাজেই আসছে না। বাজারের যেসব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এসবের ব্যবহার আদৌ পর্যন্ত কেউ দেখেননি বলে জানান বাবুরহাট বাজার ব্যবসায়ীরা।
গত মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টায় আফিয়া বেগম (৬০) নামে এক মহিলা বাবুরহাট অগ্রণী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে মাছ বাজারে গেলে তাকে ভুলিয়ে তার সাথে থাকা নগদ টাকাসহ হাত, কান ও গলায় থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় এক ছিনতাইকারী।
ভুক্তভোগী মহিলা এসব হারিয়ে খুব কান্না করেন। এক পর্যায়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করেন। বাজারের ব্যবসায়ীরা মহিলাটিকে সাহায্য করার চেষ্টা করলেও ছিনতাইকারীর সন্ধান মেলেনি কোথাও।
বাবুরহাট বাজারে বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া ছিনতাইয়ের বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মহিলাদের সাথে ছিনতাইকারীরা আত্মীয়তার ফাঁদ পেতে কিংবা সখ্য গড়ে তুলে মুহূর্তেই সবকিছু নিয়ে চম্পট হয়ে যায়। ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে অনেকেই ভারসাম্য হারাচ্ছেন আবার অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কিংবা সর্বস্ব হারিয়ে পরে গিয়ে গুরুতর আহতও হচ্ছেন।
এইসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না বাজারের ব্যবসায়ী ও বাজারে আগত ক্রেতা সাধারণ। তাই ব্যবসায়ীরা মনে করেন বাবুরহাট বাজারে অবস্থিত ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে এবং চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারে স্থাপনকৃত সিসি ক্যামেরাগুলো চালু করে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে বাজারে চুরি, ছিনতাইসহ অপরাধমূলক কর্মকান্ড বন্ধ করা সম্ভব।