সম্পাদকীয়
বাঙালি জাতি পৃথিবীতে বীরত্বের দৃষ্টান্ত হিসেবে রয়েছে আত্মবিবেচক জাতি হিসেবে। প্রতিবাদী জাতি হিসেবেও আবহমানকাল থেকে এ জাতির খ্যাতি রয়েছে। এ জাতি যে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদে সামগ্রিকভাবে লড়াইয়ে সময় নিয়ে থাকে সেটা ইতিহাস থেকেই জানা। ইতিহাস সেটাই জানান দিয়ে আসছে। কখনো বাঙালি জাতি সামগ্রিকভাবে ভূখÐ থেকে শুরু করে জীবন জীবিকার প্রত্যেকটা বিষয় নিয়ে এক যোগে লড়তে অভ্যস্ত। তবে সেটা দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমায় বেগবান হয়। সেই বেগবান পরিস্থিতি বাঙালি জাতিকে সম্মান দিয়েছিল স¤্রাট আকবর। স¤্রাট আকবরের দূরদর্শিতায় বাঙালি জাতিকে দিয়েছি বাংলা সন। তাহলে ইসলামের চোদ্দোশ সাড়ে চৌদ্দশ বছরের ইতিহাসে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের বাংলা বাংলার মানুষের প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্য প্রায় ১৪০০ সালের বেশি সময় থেকেই। কারণ যদি বাংলার ঐতিহ্য বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জীবন বৈচিত্র্য সম্পৃক্ততার সৌহার্দ্যতা না থাকতো তাহলে স¤্রাট আকবরের মতো স¤্রাট বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য বাংলায় বঙ্গাব্দ গণনার ইতিহাস সৃষ্টি করত না। বাঙালি জাতির আভ্যন্তরীণ ঐতিহ্য ব্যাপক সংঘবদ্ধ মনোভাব একাত্মতা একাগ্রতা তৎকালীন থেকে এ পর্যন্ত বিদ্যমান রয়েছে। বাংলা ভাষাভাষী মানুষের দাম্ভিকতা ন্যায় সঙ্গত জীবন ব্যবস্থার পক্ষে নৈতিকতার পক্ষে রাষ্ট্রীয় বিধানাবলীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধের থেকেই তৎকালীন স¤্রাট আকবর বাংলা ভাষার মানুষদেরকে জনগণ এবং রাষ্ট্রের সাথে একত্রীকরণের মাধ্যম হিসেবে বাংলা সন প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছিলেন। তাহলে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের শক্তি একালের নয়। বাংলা ভাষাভাষী মানুষের একাত্মতা বাংলা ভাষাভাষী মানুষের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বাংলা ভাষাভাষী মানুষের শিক্ষা সংস্কৃতি একদিনের নয়। বাংলা ভাষাভাষী মানুষের দালিলিক ইতিহাস রয়েছে সেটার একমাত্র দৃশ্যমান দাপুটে তথ্যগুলো বাংলা বর্ষ গণনা। তাই বাংলা ভাষাভাষী মানুষ কখনোই অনৈতিক চিন্তা চেতনার পথে হাটে না। সময়ের প্রয়োজনে ধৈর্য ধারণ করে অপেক্ষা করেই সামগ্রিকভাবে সমগ্র জাতি জেগে উঠে। যার ফলেই স্বতন্ত্রতা বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে দিতে কালে কালে শাসকগণ বাধ্য ছিল।