উপ-সম্পাদকীয়
অধ্যাপক মোঃ হাছান আলী সিকদার
স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হতে চললেও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এখনও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেনি। নানা বাস্তবতা ও দূর্বলতার কারণে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলোর পক্ষে বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুষ্পষ্ট, স্থায়ী কোনো অবস্থান নেওয়া সম্ভব হয় না। আবার এটাও মনে রাখা দরকার যে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির সঙ্গে দেশের পররাষ্ট্রনীতিকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে নিতে হয়। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গবেষকদের অধিকাংশই বাস্তব কারণে মনে করেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নে ভারত গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্তা। দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে গভীর আস্থা-বিশ্বাস যেমন আছে তেমনি সন্দেহ-অবিশ্বাস এবং চরম অবস্থার সংকটও দেখা যায়।
যদিও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারত- এর বিশেষ গুরুত্ব অনস্বীকার্য তথাপি বাংলাদেশের ‘ভারত-নীতি (ওহফরধ চড়ষরপু)’ নানা কারণে স্থায়ী আকার লাভ করেনি। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের উপর নির্ভর করেছে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রকৃতি। গত প্রায় পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের চড়াই-উৎরাই, তিক্ততা-উষ্ণতা নির্ভর করেছে রাজনৈতিক পালাবদলের উপর। কখনো শাসকদলকে বলা হয়েছে ‘ভারতের দালাল’ কখননোবা ‘নতজানু’ নীতির কারণে সমালোচনা হয়েছে। আবার ‘দেশ বিক্রি’ বা ‘ভারত তোষণের’ কথাও রাজনীতিতে কম-বেশী শোনা গেছে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষার নামেই সরকার ও বিরোধীপক্ষ রাজনৈতিক কর্মকাÐ পরিচালনা করে। তাহলে বলা যায়, জাতীয় স্বার্থকে প্রধান্য দিয়েই বাংলাদেশের ‘ভারত-নীতি’ প্রণীত হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের তত্ত¡, নিয়ম-নীতির চাইতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতাদর্শিক দ্ব›েদ্বর প্রতিফলন একটু বেশি দৃশ্যমান।
যে কোন দেশের পররাষ্ট্রনীতিতে সে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। বিশেষভাবে অপেক্ষাকৃত দূর্বল-রাষ্ট্রসমূহে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের মতাদর্শ বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে থাকে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে দূর্বল বা ক্ষুদ্র রাষ্ট্রসমূহে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের যথেষ্ট বিকাশ না হওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের প্রধান পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নে মূখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন। বাংলাদেশ এর শুরু থেকেই পররাষ্ট্রনীতি ক্ষমতাসীন দলের দ্বারা প্রভাবিত। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রধান ৩টি দল রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। এর বাইরে জামায়াতে ইসলামী বিএনপিকে এবং জাসদ, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) ও ওয়াকার্স পার্টি আওয়ামী লগিকে বিভিন্ন সময়ে সরকার গঠনে সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের অব্যবহিত পরেই অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতবিরোধী কিংবা ভারতপন্থি বিষযটি জনমত প্রভাবিত করার কার্যকর কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। যে কারণে বাংলাদেশে শাসকদলের পরিবর্তন ঘটলে দু’দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের পরিবর্তন ঘটে।
বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার লক্ষে ‘ওহফরধ চড়ষরপু’ নির্ধারণ খুবই জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ। এটা মোটেই সহজসাধ্য নয়, বরং পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক নানা বিষয় এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাস্তব উপাদান (ঃধহমরনষব) এবং অস্পর্শনীয় উপাদান (রহঃধহমরনষব ফবঃবৎসরহধহঃং) ভৌগলিক অবস্থানের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। কেবলমাত্র বাংলাদেশের জন্য নয় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভৌগলিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ ভৌগলিকভাবে ভারতের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্রে। ভারতের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি রাষ্ট্রের স্থলসীমান্ত এবং শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের সঙ্গে জলসীমান্ত সম্পর্ক আছে। এ ছাড়া ভারতের আকার, আয়তন, অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে ভারতকে বিশেষ আনুকূল্য দিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত ৪১৫৬ কিমি.যা বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম সীমান্ত। বাংলাদেশ পশ্চিম, উত্তর এবং পূর্ব তিন দিক থেকেই ভারতের ভূখন্ড দ্বারা পরিবেষ্টিত। তাই বাংলাদেশকে ‘ওহফরধ খড়পশবফ’ বলে অনেকে অভিহিত করেন। কিন্তু ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পন্নের মাধ্যমে বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরসহ উন্মুক্ত সমুদ্রে তার অধিকার প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের অনুকূলে সমুদ্রসীমার নিষ্পত্তির ফলে ভৌগলিক অবস্থানজনিত দূর্বলতা কাটিয়ে রণ-কৌশলগত গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। একদিকে এটি যেমন দক্ষিণ এশিয়ার অংশ, অন্যদিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে রয়েছে ভৌগোলিক নৈকট্য। বিশ্বের এই দু’টি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশ ভৌগলিক-সংযোগকারী হিসেবে কাজ করছে। ¯আয়ুযুদ্ধোত্তর ভারত মহাসাগরকেন্দ্রিক প্রভাববলয় প্রতিষ্ঠার প্রতিদ্ব›িদ্বতার প্রেক্ষিতে ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে। অন্যদিকে বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের কাছেও বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানগত গুরুত্ব অস্বীকারের উপায় নেই। কারণ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি ভূ-বেষ্টিত রাজ্য আসাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, অরুনাচল, মেঘালয় ও ত্রিপুরা ‘ইধহমষধফবংয-খড়পশবফ’ হয়ে পড়েছে। ১৯৬৫ সালের পর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের যেগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। সেটা নতুন উদ্যমে শুরু হচ্ছে। অন্যদিকে সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেটাও আজ ভারতের কাছে একটা অত্যন্ত জরুরি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই উপমহাদেশে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে তার চেষ্টা চালাতে ভারতকে প্রধান উদ্যোক্তার ভূমিকায় থাকতে হবে। আর এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা দেশ। বাংলাদেশও তাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে একইভাবে সুসম্পর্ক রক্ষা করছে। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ২০ কোটি টাকার ঔষধ পাঠানো সেই দৃষ্টিভঙ্গির সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ। আরও বলতে হয়, ভারতের মনে উদয় হয়েছে, চীনের সঙ্গে রাশিয়ার যে সম্পর্ক, আফগানিস্তানে ভারতের যে কার্যকলাপ তাতে রাশিয়ার যে সাহায্য এমনকি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও সম্পূর্ণ আমেরিকার উপর নির্ভরশীলতা না রেখে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা, চীনের সঙ্গে সম্পর্কটাকে এতটা তিক্ত না করা, যাতে সম্পূর্ণ আমেরিকার উপর নির্ভরশীল হতে হয় এই নতুন ভারসাম্যের কূটনীতিতে। তার কারণ চীন কিন্তু প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আমেরিকা দেশটা ভৌগলিকভাবে অনেক দূরে। আর এ রকম একটা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জিও ষ্ট্যাটেজিক পজিশন আর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক তাতে অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রের তুলনায় বাংলাদেশের গুরুত্ব অনেক বেশী। আর সেই কারণে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন যাতে কোন দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে না পড়ে সেটা উভয়ের দেখার দরকার।
বাংলাদেশ-ভারত এই দু’দেশের সম্পর্কের অবস্থা বর্তমান সময়ে অনেকটা ভাল হলেও বাস্তবতায় প্রতিবেশী এই রাষ্ট্র দু’টোর মধ্যে স্বার্থের দ্ব›দ্ব, কিছু বিষয়ে মতবিরোধ থাকাটাও অস্বাভাবিক নয়। আবার একে অপরের শত্রুতে পরিণত হওয়াও কাম্য নয়। তাই উভয়কে পরস্পরের প্রয়োজন সম্পর্কে সতর্ক ও সংবেদনশীল হতে হবে এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে একদিকের পাল্লা ভারী হয়ে গেলে সম্পর্কও অসম হয়ে পড়ে। আর সম্পর্ক সুষম না হলে সুসম্পর্ক হয় না। বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক হলে ভারতকে বাঙালি জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মনোজগৎকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে। কারণ প্রাচীনকাল থেকেই এই ভূখন্ডের জনগণ কোনো আধিপত্যকে মেনে নেয়নি। ভারতের প্রায় সকল প্রয়োজন মিটিয়ে দিলেও বাংলাদেশ ভারতের সাথে বহুমুখী সমস্যার খুব কমই সমাধান করতে পেরেছে এবং ভারত বাংলাদেশের প্রধান প্রধান দাবির বিষয়ে ‘কূটনৈতিক উদাসীনতা’ দেখিয়ে যাচ্ছে।
মিত্রতার দাবি সত্ত্বেও সমুদ্রসীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের শরণাপন্ন হতে হয়েছে। ইতোমধ্যে (২০১৫ সালে) অবশ্য স্থলচুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে। স্মরণযোগ্য, ১৯৭৪ সালে বঙ্গ-বন্ধু বেরুবাড়ি হস্তান্তর করে ছিটমহল সমস্যা সমাধানের সূচনা করেন। পরে ভারতীয় পার্লামেন্ট সুপ্রিম কোর্টের মামলার দোহাই দিয়ে চুক্তিটি নবায়নে অস্বীকৃতি জানায়। বিগত এক যুগে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী সফর বিনিময় করেছেন এবং অনেকগুলো বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমানকালের বড় সমস্যা- রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু সমাধানে ভারতের দৃঢ় সমর্থন পাওয়া যায়নি। তিস্তাসহ ৫৪টি নদীর পানি বন্টনের সুরাহা হয়নি। প্রায়দিনই বাংলাদেশী নাগরিকদের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে সীমান্ত। বাণিজ্য ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বাংলাদেশের প্রয়োজনে ভারত পেঁয়াজ রফতানিতেও অনীহা দেখাচ্ছে। এমনকি নেতিবাচক কোভিড-১৯ এর জন্য প্রতিশ্রুত টিকাদানে ব্যর্থতা। এরকম অনেক সমস্যায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আকীর্ণ। সাম্প্রতিককালে দু’দেশের জনমনে সাম্প্রদায়িকতার বিষয়টি অনেকটা প্রবল হয়ে উঠেছে। ভারতের মোদি সরকার অনুসৃত মুসলিম স্বার্থবিরোধী নীতিও কার্যক্রম বাংলাদেশের জনমনে অনেকটা ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে দু’দেশের সম্পর্কের বাইরেও চীন ও জাপানের সাথে ব্যাপক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের কারণে টানাপোড়নের সৃষ্টি হয়েছে। দ্বৈধতার সৃষ্টি হয়েছে সন্দেহ নেই। রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহল মনে করে, রাজনৈতিক ক্ষমতার স্বার্থে বর্তমান সরকারের ভারতের সাথে সুম্পর্ক বজায় রাখা ব্যতীত গত্যন্তর নেই। কারণ ক্ষমতাই সম্পর্কের নিয়ামক।
বস্তুতঃ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ভারতের কাছে আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞ। কিন্তু তাদের কাছে আমাদের চিরকৃতজ্ঞ থাকা উচিত হতে পারেনা, সম্প্রতি উঠেছে। ভারতও জানে, বাংলাদেশও জানে যে, চিরন্তন কৃতজ্ঞতাবোধ পৃথিবীর কোথাও দেখা যায়না। এটা ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব নয়। এটা জাতির সাথে জাতির, রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের বন্ধুত্ব। রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের বন্ধুত্ব তখনই হবে, যখন আমাদের স্বার্থ অভিন্ন হবে। আর যদি স্বার্থের ক্ষেত্রে সংঘাত থাকে তাহলে চিরন্তন কৃতজ্ঞতাবোধ কোনোদিনই হতে পারেনা। দু’দেশের সরকারের সত্যিকার মানসিকতা ও নৈতিকতা অনুসৃত হলে দু’দেশের সাধারণ মানুষই উপকৃত হবে। অবশেষে বলতে হয়, পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে অনুসৃত সেই চিরায়ত উদ্ধৃতি- ‘চিরন্তন শত্রæতা-মিত্রতা বলে কিছুই নেই। আছে চিরন্তন স্বার্থ।’ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কও এ শাশ্বত নীতিমালার বাইরে নয়। বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের সাধারণ স্বার্থে যখন সম্পর্ক নির্নীত হবে, তখনই তা হবে জাতীয় স্বার্থের পরিপূরক। আর সুসম্পর্ক প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেবে।
সহায়ক গ্রন্থ :
১. আন্তর্জাতিক রাজনীতির মূলনীতি, প্রকাশনায়- গ্রন্থ কুটির, জুলাই ২০১১
২. বাংলা একাডেমি (পত্রিকা ৬৫ বর্ষ : ৩য় সংখ্যা, জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২১) পৃ: ৪৩-৪৪
৩. নয়া দিগন্ত, ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, পৃ. ৬
- Emajuddin Ahmed, Bangladesh and The Policy of Peace and Non-alignment, edited, Foreign Policy of Bangladesh, Dhaka, University Press Ltd., 1984. P-22
- Talukder Maniruzzaman, Politics and Security of Bangladesh, Dhaka, 1994, P-80
- Rajiv Sekri- Challenge and Strategy Rethinking India’s foreign Policy, New Delhi, Sage Publication India Pot Ltd. 2014, P-58
- International Relations and Bangladesh, Harun-ur-Rashid, Dhaka, The University Press Ltd. 2004, P-216