রহমান রুবেল:
বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদের স্মরণে নানান কর্মসূচি পালন করেছে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল রোববার ২১ আগস্ট চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ।
সকাল ৮ টায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা নিহতদের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল ৯টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু খুনিদেরকে এদেশে প্রতিষ্ঠিত করেন। বহুদলীয় ঐক্যের নামে বিএনপি-জামাত চেয়েছিলেন সাম্প্রদায়িক দেশ গঠন করতে। আর আওয়ামী লীগ চেয়েছিল অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠন করতে। আমরা চাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। আর তারা চায় অসমৃদ্ধ বাংলাদেশ। জামাত শিবির ‘আমরা হবো তালেবান বাংলা হবে আফগান’ এই শ্লোগান দিয়ে তারা এদেশে বোমা হামলা চালিয়েছিলো।
তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমানের বিএনপি-জামাত আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। এই চিহ্নিত অপশক্তিকে আর এদেশের ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিএনপি চেয়েছিলেন এ দেশকে জঙ্গি বাহিনীর দেশে পরিণত করতে।
সভাপতি বলেন, আমরা আজ হয়তো চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের স্থানে আছি কাল হয়তো এখানে থাকবো না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাথে কোনদিন বেঈমানি করিনি করবো না। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী করে এদেশকে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাত থেকে রক্ষা করাই হবে আমাদের আজকের দিনের অঙ্গীকার।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ সরদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন সরকার, দপ্তর সম্পাদক শাহ আলম মিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আবু নাসের বাচ্চু পাটোয়ারী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন মিঠু, সম্মানিত সদস্য অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান কিরণ, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র সিদ্দিকুর রহমান ঢালী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন মন্টু দেওয়ান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু মাঝি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, সম্মানিত সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মোঃ বাবর, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এম এ হাসান লিটন, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ পাটোয়ারী, জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক মানিক দেওয়ান, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান লিটু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান পরান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ করিম বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি টুটুন, মজুমদার, সুমন মজুমদার প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ, শ্রমিক লীগ, রেলওয়ে শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এছাড়াও বাদ আছর শহরতলীর শপথ চত্বরের পাশে বাইতুল আমিন রেলওয়ে জামে মসজিদে এ মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বাইতুল আমিন রেলওয়ে জামে মসজিদের পেশ ইমাম খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি জাফর আহমেদ ও মাওলানা হাফেজ মোঃ আলমগীর হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা যুবলীগের সম্মানিত সদস্য আব্দুল মালেক চৌধুরী, সদস্য ঢালী শুক্কুর, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাদল গাজী, ১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ রাসেল মোল্লা, ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রনি প্রমুখ।