সম্পাদকীয়:
ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ পরিদর্শন এই তিনটি সমন্বয় প্রতিষ্ঠান। এসবের পর্যাপ্ত উপস্থিতি থাকলে যে কোন প্রতিষ্ঠান কখনো ক্ষতির মুখে পড়তে পারে না। একটি প্রতিষ্ঠানে অনেক লোকের অবস্থান হয়ে থাকে। কারো অবস্থান স্থায়ী কারো অস্থায়ী কারো ক্ষণস্থায়ী। কারণ এসকল প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়ে থাকে জনসেবার জন্য। ফলে এমন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়গুলো যথাযথভাবে কার্যকরী না থাকলে যা হবার তা হয়েছে এবং হতে থাকবে। ৮ এপ্রিল দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে লাইসেন্সবিহীন ফিজিওথেরাপি সেন্টারে সেবা নিয়ে জনগণের ভোগান্তি। তাহলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা আংশিক পদ্ধতি এই সব ফিজিওথেরাপি সেন্টারগুলো চিকিৎসা ব্যবস্থা কার্যক্রম আবাসন বিভিন্ন ভবন এমনকি প্রত্যেকটি বিষয়ে সঠিক তদারকি পর্যবেক্ষণ পরিদর্শন যদি স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকত তাহলে জনগণের এমন ভোগান্তি হতো না। এটা দপ্তরের জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঠিক নিয়ম মাফিক তদারকি থাকলে নিয়মমাফিক পর্যবেক্ষণ থাকলে এই সব প্রতিষ্ঠান হতো না। এর আগেই পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ব্যবস্থা করা যেত। যদি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রত্যেকটা বিষয় সঠিক নজরদারিতে আনে সঠিক পর্যবেক্ষণে থাকতো সঠিক আলোচনাতে রাখতো তাহলে স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হতো। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম দিয়ে থাকে। এমন কি আছে ও উপজেলা সদর হাসপাতাল গুলোতেও দেখা যাবে বিভিন্ন কক্ষে কক্ষে স্বাস্থ্যসেবা খাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি একদম অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এসকল ফিজিওথেরাপি সেন্টার গুলোকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স দিয়ে পর্যাপ্ত চিকিৎসক সংযোজন না করে কিভাবে প্রতিষ্ঠান চলে তা জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অবশ্যই জানার কথা। যদি ভালোভাবে তদারকি নেয়া যায় তাহলে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ফিজিওথেরাপি সেন্টার দেখা যাবে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অনেক নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সকল সেন্টার পরিচালনা করছে। এসকল প্রতিষ্ঠান জনগণকে ঠকানোর ফাঁদ হিসেবে স্থাপন করা হচ্ছে আর জনগণ সরল মনে এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিতে এসে বিভিন্ন রকম হয়রানির শিকার হচ্ছে। এগুলো জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সঠিক পর্যবেক্ষণ সঠিক পরিদর্শনের অভাবে বড় ধরনের ক্ষতি মধ্যে পড়ছে দেশের ভুক্তভোগী জনগণ। তাই সরকারের সদিচ্ছা থাকা সত্তে¡ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের এ সমস্ত বিষয়গুলোকে যদি সঠিক পর্যবেক্ষণ এবং সঠিক তদারকি এবং সঠিক পরিদর্শনে রাখে তাহলে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা আর দেখতে হতো না। তাহলে জনসেবার জন্য প্রতিষ্ঠিত হাওয়া প্রতিষ্ঠান সেখানে জনগণকে সেবা নিতে গিয়ে যদি দুর্ভোগ পোহাতে হয় কষ্টের সম্মুখীন হতে হয় তাহলে এ সকল প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করার মানে হয় না। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর এই সকল বিষয়ে গুরুত্ব দিবে বলে বিশিষ্টজনদের দাবি। দেশের সচেতন মহল এটাই বলছে যে জেলায় প্রতি উপজেলায় প্রত্যেকটা ফিজিওথেরাপি সেন্টার ভালোভাবে খোঁজ নিলে এমন অনেক ঘটনাই চোখে পড়বে এবং যা অনেক কিছুই জনসেবার নামে ধান্দাবাজি।