ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জে অবৈধ ভাবে খাল দখলের মাহা উৎসবে পরিণত হয়েছে। এতে করে পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে হাজার হাজার একর ফসলি জমি। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় কৃষকরা।
এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজনের স্বাক্ষরিত একাদিক বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্বারকলিপি দিলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা প্রশাসন। এনিয়ে এলাকায় বিরূপ আলোচনা সমালোচনা চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ১নং বালিথুবা ইউনিয়নের খাড়খাদিয়ে গ্রামে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে খাড়খাদিয়া গ্রামের অলি উল্যা সরকারী খালের উপরে পাকা ইমারত নির্মাণ করে খালের পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে। এতে করে খাড়খাদিয়া গ্রামের ফসলি জমিতে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। এতে নির্ধারিত ফসল উৎপাদনে লক্ষ মাত্রা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একাদিকবার স্থানীয়রা স্বারকলিপি দিলে প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাদেরকে বাধা দিলেও কোন প্রকার কর্র্ণপাত করেনি অলি উল্যা। সে বিভিন্ন ভাবে সকলে মেনেজ করে নাকি দখল করে রাখছে সরকারী খাল। গত অর্থ বছরের খাল খনন কর্মসূচির সময় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে খাল খনন করা হলে অলি উল্যা তার অবৈধ দখল ইমারত ভেঙ্গে দিবে বলে শিকার করেন চেয়ারম্যানের কাছে। কিন্তু এখন প্রর্যন্ত কে বা কার ক্ষমতা বলে বলবত রাখছে খালের উপর অবৈধ স্থাপনাটি।
স্থানীয় লোকজন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এই অবৈধ খালের উপর গড়ে উঠা ইমারত সরিয়ে পেলার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করে আসছি কিন্তু কোন সমাধান হচ্ছে না। এই অবৈধ ইমারতের কারনে আমাদের এই খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্চে। আমার নিষ্কাশনের ব্যবস্থা কম থাকায় আমাদের ফসলি জমি থেকে প্রত্যাশিত ফসল পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা এর প্রতিকার চাই।
অবৈধ দখলদার অলি উল্যা বলেন, আমার জমিতে আমি মাদ্রাসা নির্মাণ করেছি। পাশে খালের উপরে কিছু অংশ রয়েছে। আমি খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে ভেঙ্গে দেবো।
সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান বলেন, আমি খাল খনন করা সময় অলি উল্যা কে বলেছি তার ইমারত ভেঙ্গে দিতে সে বলেছে পরে ভেঙ্গে দিবে। এ বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে অভিযোগ করেছি কিন্তু কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলি হরি বলেন, আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি আসলে প্রায়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। স্বারকলিপি জমা দেয়া ছবি দেখালে তিনি বলেন, এখনও আমার কাছে আসেনি। চেয়ারম্যান আমাকে এবিষয়ে কোন অভিযোগ করেনি।