স্টাফ রিপোর্টার:
ফরিদগঞ্জে রাতের আঁধারেও ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করে দেওয়া হচ্ছে করোনার টিকা। প্রান্তিক পর্যায়ে অসচেতন জনসাধারণকে করোনার টিকার আওতায় আনতে এ উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। অসচেতন ও অবহেলিত জনসাধারণকে করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শুধু এম্বুলেন্স নয় অটো রিকশা করে বাড়ি বাড়ি গিয়েও টিকা দিতে দেখা গেছে। আর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সচেতন মহল।
গত ২৪ ফেব্রæয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিরবাজার এলাকায় কোভিট-১৯ ভ্রাম্যমাণ টিকাদান কার্যক্রম ব্যানার সাঁটিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্সে করে করোনার টিকা দিতে দেখা গেছে। এ ভ্রাম্যমাণ টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করেন, উপজেলা স্যানিটাইজার ইন্সপেক্টর মোঃ নজরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সহকারী দীলিপ চন্দ্র মজুমদার, সিনিয়র নার্স জেসমিন খাতুন ও এম্বুলেন্স ড্রাইবার দেলোয়ার হোসেন।
শুধু তাই নয়, শুক্রবার সকালেও উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় অটোরিক্সা করে সাধারণ মানুষের দ্বোরগোড়ায় টিকা নিয়ে কড়া নাড়তে দেখা যায়। এসময় ভ্রাম্যমাণ টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করেন, সহকারী পরিদর্শক মরিয়ম বেগম ও এইচ.এ মো. মোস্তফা তালুকদার।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা আশ্রাফ চৌধুরী বলেন, উপজেলার সব মানুষকে করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমরা ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করে অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন দিচ্ছি। এতে করে টিকা প্রাপ্তিদের ভোগান্তিতে পড়তেও হচ্ছে না এবং তারা নিজ এলাকায় থেকেই করোনার টিকা নিতে পারছে। আমাদের উপজেলায় মোটামুটি এখন পর্যন্ত ৫৩ শতাংশ মানুষ করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছে।
তিনি আরো জানান, ২৬ ফেব্রæয়ারি সরকারের ঘোষণা এক দিনে এক কোটি করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার হবে। তারই ধারাবাহিকতায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে মোট ৫২ টিম দ্বারা এক যোগে করোনা টিকা প্রদান করা হবে।