ফাহাদ খাঁন
গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ১৬ জানুয়ারি রোববার সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ১৫ নং রূপসা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর ফারুক ফারুকী।
সংবাদ সম্মেলনে নৌকা প্রতীকে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা দাবি করেন, গত ৫ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের নামে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন স্বাধীনতার প্রতীক নৌকাকে হারানোর ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে আমাদের মনে হয়। তাদের অতি উৎসাহী কর্মকান্ড, কথা বার্তা, আচার-আচরণ এবং দায়-দায়িত্ব পালনে জনমনে সেই সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।
তাদের অভিযোগ, যে সকল প্রার্থী উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে সর্বস্তরের আ.লীগের কর্মীদের সহযোগিতা নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন তারা কেবলমাত্র ব্যক্তিস্বার্থে নৌকা প্রতীককে পরাজিত করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে তাদের ব্যক্তিগত অনুসারীদেরকে নৌকার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের অনুসারীদের দিয়ে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিয়েছেন। আমরা দেখেছি যে, জেলা পর্যায়ের বিশেষ মহলের ইন্দনে প্রশাসন নৌকা মার্কার কর্মীদেরকে নির্বাচনের পূর্ব হতে নির্বাচন পরবর্তী সময় পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ভীতি প্রদর্শন পূর্বক নির্বাচনের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থেকে বিরত রেখেছে। এছাড়াও নির্বাচনের দিন নৌকার এজেন্ট, ব্যাজধারী কর্মীদের মারধর করে ভোটকেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে দেওয়া, আটক করা এবং গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
তাদের দাবি নৌকার পরাজয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জেলা আ.লীগের একজন সাবেক শীর্ষ নেতা ও সাবেক এমপি নৌকা মার্কাকে পরাজিত করার জন্য প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে কয়েকজন করে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড় করিয়ে তাদেরকে এবং স্বতন্ত্র নামে বিএনপি জামায়াতের প্রার্থীদেরকে ডোনেশন দিয়ে নৌকাকে পরাজিত করেছেন।
এছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড় করিয়ে এবং চাঁদপুরের বহিরাগত ভাড়াটে দিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। আমরা আরো দেখেছি যে একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনে তার আপন ভাইকে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি নৌকার কর্মীদেরকে ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনী এবং প্রশাসনের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ঘরছাড়া করেছেন। প্রশাসনিক হয়রানির মাধ্যমে নৌকার কর্মীদের গ্রেফতারসহ তাদের পরিবার পরিজনকে ভয়-ভীতি প্র্রদর্শন করে নৌকা প্রতীককে নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করার অপচেষ্টা চালান।
জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে থেকে নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করা এবং একটি বিশেষ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদেরকে চাকরি হারানোর ভয় দেখিয়ে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বাধ্য করেন।
ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ১নং বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাহাউদ্দিন বাহার, ২নং বালিথুবা পুর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম হাসান তাবাচ্ছুম, ৪নং সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ পারভেজ হোসেন, ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল গনি পাটোয়ারী, ৬নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নেরর চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, ৭নং পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আলাউদ্দিন, ৯নং গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহেল চৌধুরী, ১৫নং রুপসা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর ফারুক ফারুকী। এসময় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।