ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি
ফরিদগঞ্জে পানির ছিটকে গায়া লাগার মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। পরে ওই মামলায় তিনজনে আটক করে পুলিশ। তবে তুচ্ছ এমন এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলা দায়ের করায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মামলায় আটককৃতরা হলেন শাহাদাত হোসেন (৪৭) মোঃ মাহাবুব (৩৫) ও মোঃ মোহন (৪৯)। যদিও বিকেলে আদালতের জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৪নং সুবিদপুর ইউনিয়নের উটতুলি গ্রামে।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায়ে উপতুলি গ্রামের দোকানদার মোহন গত ১৭ জানুয়ারি তার দোকানের সামনে ধুলাবালির যাতে উঠতে না পরে সেই জন্য পানি দিয়ে থাকেন। এসময় মামলার ১নং সাক্ষী শরিফ হোসেন (১৬) মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাংকি রাস্তার উপরে পরিস্কার করতে ছিলেন। রাস্তা পানি দেওয়ার অবস্থায় শরিফের গায়ে পানির একটু ছিটকে গেলে শরিফ সাথে সাথেই রেগে যায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা কাটাকাটি ও হুমকি দমকির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায় স্থানীয় লোকজন উভয় পক্ষকে বুজিয়ে সকলকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরে এ ঘটনায় শরিফের মামা কামাল হোসেন বাদী হয়ে ৪জনকে বিবাদী ও ৪/৫জনে অজ্ঞাত করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে এলাকায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, এই ছোট ঘটনা নিয়ে মামলা এবং কাউকে হয়রানি করার জন্য আটক করা বিষয়টি হাস্যকর। এসমস্ত বিষয় এলাকায় সমাধান করা যায়। এগুলো মামলা করার মত বিষয় নয়।
মামলার সাক্ষী আনোয়ার হোসেন বলেন, মহন ভাই আর আমি প্রতিদিন রাস্তায় পানি দিয়ে থাকি। যাতে করে রাস্তার ধুলাবালি না উড়ে। সেই দিন মহন ভাই রাস্তায় পানি দিতে ছিলেন। শরিফ পাশে মোটরসাইকেলর ট্যাংকি পরিস্কার করতে ছিলেন। এসময় পানির ছিটকা তার গায়ে গিয়ে পড়ে। এটা নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝ কথা কাটা কাটি হয়েছে। এটা মামলা হয়ার মত কোন বিষয়ই না।
মামলার ১নং সাক্ষী শরিফ ও ২নং সাক্ষী হুমাউন কবির বলেন, আমি রাস্তার উপরে মোটরসাইকেলর ট্যাংটি পরিস্কার করতে ছিলাম। এসময় মহন ভাই রাস্তায় পানি দিচ্ছিলেন। তিনি ইচ্ছা করে আমার গায়ে পানি দিয়ে বলেন দূরে গিয়ে ট্যাংকি পরিস্কার করতে। আমি মহন ভাইকে আমার গায়ে পানি দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি রেগে গিয়ে আমার উপরে রড দিয়ে আঘাত করেন। আমার হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে পেলে এবং আমাদেরকে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দেন।
মামলার বিবাদী দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার ভাই রাস্তায় প্রতিদিন পানি দিয়ে থাকেন। এসময় তার গায়ে পানির ছিটকা যাওয়া সে আমাদেরকে গালাগালি শুরু করে। আমার ভাই তাকে ডাক দিলে সে আরো বেশি ক্ষেপে যায়। তার মামাসহ আমাদের উপর হামলা করার জন্য আসলে স্থানীয় লোকজন তাদের বাঁধা দেয়। তারা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর বলেন, আদালতে মামলা হয়েছে। আমি তদন্ত করতে গিয়ে আসামী দেখতে পাই। এসময় তাদেরকে আটক করে নিয়ে আসি।