ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জে বি.এস খতিয়ানে ভুলবশত জমির দাগ অন্তর্ভুক্ত হওয়া জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করছে প্রভাবশালী একটি মহল। তার উপরে আবার উল্টো নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন ধরনে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে। এই সকল মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে গেলে জমি দখল করতে আর কোন বাঁধা থাকবে না বলে অভিযোগ করেন ভোক্তভোগীরা। ঘটনাটি উপজেলার ১৫নং রুপসা ইউনিয়নের পশ্চিম রুপসা গ্রামে পন্ডিত বাড়িতে।
ঘটনার সূত্র জানা যায়, সুলতান আহাম্মেদ গংরা র্দীঘ বহু বছর বাড়িতে না থাকায় বি.এস রেকর্ড কালে তাদের ক্রয়কৃত জমি ভুলবশত শফিকুর রহমান গংদের নামে অন্তর্ভুক্ত হয়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শফিকুর রহমান গংরা শফিকুরের স্ত্রীর আমেনা বেগমের নামে সাব কাবলা করে জমি হস্তান্তর করেন। যাতে করে কোন প্রকার আদালত করে জমি উদ্ধার করতে না পারে। এদিকে সুলতান গংরা গ্রামের বাড়িতে এসে বাড়ি ঘর নির্মাণ করতে গেলে বাঁধা দেয় শফিক গং। এই নিয়ে উভয়ের মাঝে বাক-বিতন্ডা হয়। পরে কোন উপায় না পেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয় সুলতানগংরা। কিস্তু শফিকুর রহমান মতলব দক্ষিণের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাবুলেন্সের ড্রাইভার হওয়ায় সুবিধা কাজে লাগিয়ে মেডিক্যাল থেকে মিথ্যা রির্পোট দিয়ে মামলা করছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। যাতে জমি দখলের করতে সহজ হয়। জমি দখলের এমন পায়তারায় অবাক এলাকাবাসী।
এই ঘটনায় আরো জানা যায়, ১৯৬২ ও ১৯৮৪ সালে সাবকাবলা মূলে ৩৮৮৩নং ও ৭১৫০নং দলিলে সাবেক ৭৩/৬৭৫/৬৩৬/৭৭৩নং দাগে এই জমির মালিক হন সুলতান গংরা। জীবিকার তাগিদে বাড়িতে না থাকায় তাদের ক্রয়কৃত জমি ভুলবশত শফিকুর রহমানদের নামে হয়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জমি দখলের পায়তারা করছে তারা।
একই বাড়ির কালুমিয়া, আঃ রব ও পারুল বেগম বলেন, এই জমি সুলতানগংদের তারা স্বাধীনের আগে এই জমি ক্রয় করেছে। তারা বাড়িতে না থাকায় শফিক গংরা জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছে। মূল মালিক হলেন সুলতানরা। বিএস একজনের জমি অন্য জনের নামে উঠেছে। এই ধরেনের ভুল সারাদেশে আছে, তাই বলে জমি জোর করে নিয়ে যাবে। এটা কি রকম কথা।
সুলতানের পরিবারের সদস্যরা বলেন, জীবিকার তাগিদে আমরা বাড়িতে ছিলাম না। বাহিরে ছিলাম, আমরা বাড়িতে এসে ঘরের কাজ করতে গিয়েছি, তখন তারা বলে তাদের জমি। পরে দেখি শুধু বিএস সূত্রে তারা মালিক। আমরা বাড়িতে না থাকায় তারা আমাদের জমি তাদের নামে বিএস করে নিয়েছে। এই বলে তারা মালিকানা দাবি করে। আমরা আদালতে মামলা দিয়েছি বিএস সংশোধনের জন্য। শফিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরির সুবিধার্থে আমাদের নামে বিভিন্ন ধরনের মামলা দিয়ে যাচ্ছে। যাতে আমরা বাড়ি ছেড়ে চলে যাই। আমরা এর বিচার চাই।
শফিকুর রহমান বলেন, এই জমি আমরা পৈত্রিক সূত্রে মালিক। আপনার স্ত্রীর নামে হস্তান্তার করলেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের ভাইদের টাকা প্রয়োজন ছিলো তাই তারা বিক্রয় করে দিয়েছে। আপনি ও আপনার মা দিলেন কেন? প্রয়োজন ছিলো দিয়েছি।
এ বিষয়ে আদালতের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবার।