ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জ অপ্রতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের মাঝে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। এসময় পুরো এলাকা জুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করে। উক্ত ঘটনায় থানায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, র্দীঘ দিন ধরে উভয় পরিবারের মধ্যে অপ্রতিকর কিছু ঘটনা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। বিরোধকে কেন্দ্র করে মরজিনা বেগম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি মিমাংসার জন্য থানা পুলিশ গত ২৩শে সেপ্টোম্বর শুক্রবার উভয় পক্ষ কে বসে সমাধানের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন। কিন্তু এক পক্ষ থানায় বসে সমাধান জন্য রাজি থাকলেও অন্য পক্ষ থানায় না বসে এলাকায় বসে রাজি থাকেন। দুই পক্ষ কে একসাথে বসাতে ব্যর্থ হয় থানা পুলিশ। তাই উক্ত বিষয় নিয়ে আর বসা হয়নি।
এদিকে শুক্রবার রাতে মরজিনার ভাই আরিফ বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বোনের বাসায় আসার পথে প্রতিপক্ষের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়ের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয়ে পরিবারের লোকজন এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এতে প্রায় ২০জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। আহতরা হলেন, আরিফ হোসেন, রাজ্জাক হোসেন, শরিফ হোসেন, মরজিনা বেগম, ইয়াসিন হোসেন, ফরহাদ হোসেন, জসিম উদ্দিন, হাবিব চৌয়াল, অপর পক্ষের আহতরা হলেন, ইসমাইল হোসেন, মনির হোসেন, রনি, কাঞ্চছন, শিল্পী বেগম, মাছুম, নুর জাহান বেগম, নিপা আক্তারসহ আরো অনেকে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হলে কর্তবরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ৫জনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনা শুনে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
আরিফ হোসেন বলেন, আমি আমার এক আতীœয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে আমার বড় বোনের সাথে দেখা করতে গেলে প্রতিপথে মনির ও মাসুদ গং আমার উপর হামলা চালায়। আমাকে মারতে মারতে বেহুশ করে পেলে। বিষয়টি আমার পরিবারের লোকজন সুনে আমাকে বাঁচাতে আসলে তারা তাদের উপরও হামলা চালায়। এসময় আমাদের পরিবারের লোকজনসহ আরো অনেকে গুরুত্বর আহত হন। আমরা আহতদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। আমরা এর সু- বিচার প্রার্থী।
মনির হোসেন বলেন, আমাদের বাড়িতে মরজিনার সাথে র্দীঘদিন ধরে ভিবিন্ন বিষয়ে নিয়ে ঝগড়া লেগে রয়েছে। গত কয়েদিন পূর্বে ছোট বাচ্চাদের জুতা পেলে দেওয়া কে কেন্দ্র করে আরো একটি ঝগড়া হয়। সে বিষয়ে মরজিনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি মিমাংসার জন্য গত শুক্রবার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু স্থান নির্ধারণে কারনে আর বসা হয়নি। আরিফ আমাদের বাড়িতে এসে আমার ছোট ভাতিজাদের সাথে কথা কাটা কাটি করে। এক পর্যায়ে সে তাদের মারধর করেন। মারধরে এক পর্যায়ে সে তার বাড়িতে ফোন দিয়ে লোকজন জড় করে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ৮/১০ জন গুরুত্বর আহত হন। আহতরা চিকিৎসাদিন অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ শহিদ হোসেন বলেন, আমরা মারামারি ঘটনা সুনে দ্রæত পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছি। উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।