বিশেষ প্রতিনিধি
ফরিদগঞ্জের কৃতি সন্তান সাবেক ছাত্র ও যুব নেতা মোঃ মনিরুল ইসলাম মিলনকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় কমিটির ৯ম জাতীয় কাউন্সিল শেষে পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা ১২ এর ৩উপধারা মোতাবেক পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদীয় বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের-এর গত ১৫জানুয়ারী স্বাক্ষরিত পত্রে এ দায়িত্ব দেয়া হয়।
এর আগে তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নব্বই’র দশকের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। মনিরুল ইসলাম মিলন ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ভাওয়াল গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম জামাল হোসেন পাটোয়ারী সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। ৫ ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। মনিরুল ইসলাম মিলনকে ২০১৪ ও ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নিবাচনে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ উপজেলা) আসনে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পাটির মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু মহাজোটের কারণে এ আসনে মহাজোটের প্রাথী হিসেবে আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে সর্মথন দেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের দেশ পরিচালনায় আকৃষ্ট হয়ে জাতীয় পার্টির সমর্থন শুরু করে তার পুরো পরিবার। তাই ১৯৯১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র অবস্থায় এরশাদের হাতে গড়া সংগঠন তৎকালীন সংগ্রামী ছাত্রসমাজ বর্তমান জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের রাজনীতিতে যুক্ত হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরতবস্থায় জাতীয় ছাত্র সমাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে নেতৃত্ব শুরু করেন। একজন ছাত্র নেতা হিসেবে তাঁর মেধা, যোগ্য দক্ষতার কারণে জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান।
ছাত্র রাজনীতিতে তাঁর গুণাবলী দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে পল্লীবন্ধু এরশাদের নজরে পড়েন। তিনি ছাত্র এরশাদ মুক্তি আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশি নির্যাতন, তৎকালীন সরকার দলীয় গুন্ডা বাহিনীর আক্রোশ এবং মামলার আসামী হন। পরে যুব রাজনীতিতে বলিষ্ঠ ও সক্রিয় ভুমিকা পালন করায় জাতীয় যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। রাজনীতিতে দক্ষতার কারণে হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হন। যে কারণে তাকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রাজনৈতিক মেধা ও প্রজ্ঞার কারণে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর পা আরো সুদৃঢ় হয়। ৮ম জাতীয় সন্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হন।
রাজনৈতিক মাঠে ক্যারিশসিমাট্রিক গুণাবলী ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণে সাধারণ মানুষের কাছে একজন ব্যক্তিত্ব সম্পূন্ন রাজনৈতিক হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ও পরিচিতি লাভ করেন।