স্টাফ রিপোর্টার:
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩নং সুবিদপুর ইউনিয়নের বাগপুর গ্রামে দুইটি কবরস্থানের মাঝে টয়লেট নির্মাণের চেষ্টা করছে একটি পক্ষ। ইতোমধ্যে মাটি কেটে বেইজ কাটা হয়েছে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দা মোবাশ্বেরা বেগম চাঁদপুর আদালতে ১৪৫ধারা জারির আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে। পরে ফরিদগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ টিম গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একটি পক্ষ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে। শুধু তাই নয় পুলিশ টিম গেলেও ওই প্রভাব বিস্তারকারী পক্ষ উচ্চবাক্য করে। বিষয়টি সম্পর্কে সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গেলে অশালীন আচরণ করে হাসান পাটওয়ারীসহ বেশ কয়েকজন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পশ্চিম ও উত্তর পাশে দুটি কবরস্থান রয়েছে। দুই কবরস্থানের মাঝে মসজিদের ঠিক দক্ষিণ পশ্চিম কোণে টয়লেট নির্মাণের জন্যে বেইজ কাটা হয়। যদিও টয়লেট তৈরির জন্যে নির্বাচিত স্থান নিয়ে মামলা জটিলতা রয়েছে। মামলা ও আদলতের প্রক্রিয়াকে ডিঙিয়ে টয়লেট নির্মাণ চেষ্টা করায় লাগুয়া বাড়ির লোকজনের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে আদালত ১৪৫ ধারা জারি করে। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করে দিয়ে উভয়পক্ষকে নোটিশ দিয়ে আদালতকে অবহিত করে। তারপরেও হাসান পাটওয়ারীসহ একটি পক্ষ আদালতের আদেশ অমান্য করে কাজ করার পাঁয়তারা করছে।
মসজিদের সাধারণ সম্পাদক হারুন পাটোয়ারী বলেন, মোবাশ্বেরা বেগম মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজের সম্পত্তিতে মামলা করে যে বাধা প্রদান করেছেন তাঁরা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, এবং হয়রানিমূলক। আমাদের এই মসজিদের বয়স প্রায় চল্লিশ বছর এবং এই সম্পত্তিগুলো মসজিদের ওয়াকফ সম্পত্তি।
মামলার বাদি মোবাশ্বেরা বেগম বলেন, রোস্তম আলী বেপারীর খরিদা সম্পত্তি। যার সিএস খতিয়ান ৬১ আর বিএস ১৮৮। ২৪৩ নং বাগপুর মৌজা। খরিদকৃত এ সম্পত্তিতে একটি চক্র জবরদখল করে টয়লেট নির্মাণের চেষ্টা করে। অথচ এখানে দুইটি কবরস্থান রয়েছে। যেখানে আমাদের পূর্বপুরুষরা ঘুমিয়ে আছেন। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে কবর সম্প্রসারিত করতে হলে জায়গার প্রয়োজন। অথচ এ জায়গাতেই ওই সংঘবদ্ধ চক্র টয়লেট নির্মাণের চেষ্টা করছে। এ কারণে আমরা আদালতে সরানাপন্ন হই।
মোবাশ্বেরা বেগম আরো বলেন, আমি আদালতে সরনাপন্ন হলে হাসান পাটওয়ারী, আনোয়ার হোসেন, নুরুল ইসলাম হারুনুর রশিদ, তাজুল ইসলাম, আবুল ফজলসহ একটি চক্র বিভিন্ন সময়ে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। আমি আমার নিরাপত্তাহীনতা ভূগছি। আমি আমাদের জায়গা ও পারিবারিক কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। নিশ্চয় আদালত বিষয়টি বিবেচনা করে রায় দিবেন। তারপরেও আদালত যে রায় দিবে আমরা সে রায় মেনে নিবো।
ফরিদগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক এএসআই মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থিতিতাবস্থা থাকায় আদালতের নির্দেশে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। উভয়পক্ষকে নোটিশ দিয়ে আদালতকে অবহিত করেছি।